চট্টগ্রামে ‘পার্কিং বাণিজ্যে’ পুলিশের অ্যাকশন, ২৮ ট্রাক-লরি আটক

নগরে পাহাড়তলী থানার সাগরিকা সফি মোটরস এলাকার ব্যস্ততম রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে পার্কিং করা ২৮টি ট্রাক ও লরি আটক করেছে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগ। গাড়ি আটকের পর পাঁচটি মামলাও করা হয়।

শনিবার (৬ মে) দুপুরের এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) জাহিদুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন টিআই একে খান আশিকুর রহমান ও পাহাড়তলীর টিআই সন্তোষ ধামেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কথিত শ্রমিক লীগ নেতা ইলিয়াস দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তা দখল করে অবৈধ ট্রাক পার্কিং করে চাঁদা আদায় করতেন। এছাড়া ট্রাক চালকদের নিয়ে জুয়ার বোর্ড বসানো এবং মাদক সেবনেও সহযোগিতা করতেন।

আরও পড়ুন: আলোকিত চট্টগ্রামে প্রতিবেদনের পরপরই অ্যাকশনে চকবাজারের পুলিশ

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, এলাকায় ইলিয়াসের রয়েছে বিশাল কিশোর গ্যাং। এ গ্যাংয়ের মাধ্যমে নিয়মিত চাঁদা আদায় করেন ট্রাক ও জুয়ার বোর্ড থেকে। চাঁদা না দিলে শ্রমিক লীগের অফিসে নিয়ে করা হয় মারধর।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. ইলিয়াস বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা৷ আমি একটি মসজিদের সাধারণ সম্পাদক। অনেক আগে আমি পার্কিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। বর্তমানে সেটি অন্যরা পরিচালনা করছেন। আর জুয়ার বোর্ড ও মাদক সেবনে সহায়তা করার কোনো প্রশ্নই আসে না।

যোগাযোগ করা হলে সিএমপির ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের টিআই জাহিদুল ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, প্রায়ই অভিযোগ আসত রাস্তা দখল করে অবৈধ পার্কিং করছে একটি চক্র। সেই পার্কিং ঘিরে ছিল চাঁদাবাজি ও ইভটিজিংয়ের অভিযোগ ৷ এসব অভিযোগের পর বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে সেই অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ করি। কিন্তু আমরা চলে যাওয়ার পর আবারও একই জায়গায় গড়ে তোলা হয় অবৈধ পার্কিং। আজ ফের অভিযান চালিয়ে গাড়ি আটকের পাশাপাশি বন্ধ করা হয়েছে অবৈধ পার্কিং। এছাড়া পাঁচটি মামলা করা হয়েছে।

আরএন/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm