পুতুল ভেবে কাছে গিয়ে দেখল শিশু, ১৪ ঘণ্টার প্রতীক্ষার সমাপ্তি

চকবাজারের খালে পড়ে নিখোঁজ হওয়া শিশুর মরদেহ ১৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে চাক্তাই খালের চামড়ার গুদাম এলাকার আবর্জনার স্তূপে ভেসে থাকা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

শিশুটির নাম সেহরিশ। তার বাবা মো. শহিদ ও মা সালমা বেগম নগরের আছদগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে কাপাসগোলা এলাকায় স্বজনদের বাসা থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় ফিরছিলেন সেহরিশ, তার মা ও দাদি। পথে রিকশাসহ তারা খালে পড়ে যান। এ সময় মায়ের কোল থেকে ছিটকে নিখোঁজ হয় সেহরিশ। রিকশাচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা মা ও দাদিকে উদ্ধার করে।

রাত সাড়ে ৮টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং পরে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল। রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্ক্যাভেটর দিয়ে রিকশাটি তোলা হয়।

রাতে ঘটনাস্থলে যান চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি উদ্ধারকারীর জন্য ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন। আজ সকালে স্থানীয় যুবক মিজান খালে পুতুল ভেবে মরদেহটি দেখতে পান। কাছে গিয়ে নিশ্চিত হন এটি শিশু সেহরিশের দেহ।

পরে কাদামাখা মরদেহটি খালপাড়ে ধুয়ে পরিচ্ছন্ন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনার পর স্থানীয়রা ক্ষোভপ্রকাশ করেন। তারা অভিযোগ করেন, খালে আবর্জনার স্তূপ এবং খালপাড়ে বেষ্টনী না থাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে।

ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প দ্রুত শেষ করার দাবি জানান অনেকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চসিক ও সিডিএর সমালোচনা করা হয়।

জেজে/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm