পাহাড়ে এক বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল ১২ কালোমুখ হনুমান

মহেশখালীতে পাহাড়ি এলাকার এক বাড়ি। সেই বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বিলুপ্তপ্রায় কালোমুখ হনুমান। একটি-দুটি নয়, পাচারের জন্য পাহাড়ি এলাকার সেই বাড়িতে রাখা হয়েছিল ১২টি কালোমুখ হনুমান!

তবে শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেনি পাচারকারীরা। বন বিভাগের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ১২টি কালোমুখ হনুমান। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার শাপলাপুরের বারিয়ারছড়ি পাহাড়ি এলাকার একটি বাড়ি থেকে এসব হনুমান উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, উপজেলার শাপলাপুরের বারিয়ারছড়ি এলাকার পাহাড়ের ভেতর একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে বিলুপ্তপ্রায় ১২টি কালোমুখের হনুমান পাচারের উদ্দেশ্যে খাঁচায় আটকে রাখা হয়েছিল। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে বাচ্চাসহ ১২টি হনুমান উদ্ধার করা হয়। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন)-২০১২ অনুযায়ী হনুমানের এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত। তাই এটি হত্যা বা এর কোনো ক্ষতি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

আরও পড়ুন : মধ্যরাতে চশমাপরা হনুমান পাচার করছিল বাসের সুপারভাইজার

যোগাযোগ করা হলে শাপলাপুর বিট কর্মকর্তা নুরে আলম মিয়া নাহিদ। আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, বন্যপ্রাণী পাচার করার খবরে মহেশখালীর পাহাড়ির এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিলুপ্তপ্রায় ১২টি হনুমান উদ্ধার করা হয়েছে। এ পাচারচক্রে কারা জড়িত তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশের তিন প্রজাতির হনুমানের মধ্যে একটি হলো কালোমুখ হনুমান (Hanuman Langur)। এদের গড় আয়ু ১৮ থেকে ৩০ বছর। সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর বা কোনো-কোনো ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল এদের প্রজননকাল। স্ত্রী হনুমান ২০০ থেকে ২১২ দিন গর্ভধারণের পর সাধারণত ১/২টি বাচ্চা প্রসব করে। হনুমানের এই প্রজাতি গাছের কচিপাতা, শাকসবজি, ফলমূল ও ফুল খেয়ে বাঁচে। তবে বসতবাড়ির কাছাকাছি বসবাস করায় মানুষের খাবারেও এরা অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm