বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানির সুযোগ ধীরে ধীরে বাড়ছে। আমরা চাইছি অফিসিয়াল আইটেমগুলোর রপ্তানি বাড়াতে। প্রত্যেকটি পণ্যের রপ্তানি অন্তত বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাক। তবে সুখের কথা হলো গত দুবছরে আমাদের চার-পাঁচটা আইটেম বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করেছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চামড়াজাত, পাটজাত পণ্য, লাইট, মেশিনারিজ, আইটি প্রোডাক্ট, আইসিটি সেক্টরের পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যাল প্রোডাক্ট আন্তর্জাতিক বাজারে বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে ১৫১টি দেশে আমাদের ওষুধ রপ্তানি হয়। আমাদের সিরামিক প্রোডাক্ট আন্তর্জাতিক বাজারে খুবই জনপ্রিয়। পশ্চিমা দেশগুলোর ফাইভ স্টার হোটেলেও বাংলাদেশি সিরামিক পণ্য দেখতে পেয়েছি।
সোমবার (১০ অক্টোবর) নগরের কাজির দেউড়ি আউটার স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) আয়োজনে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রপ্তানি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সারাদেশের কোথাও লোড এক্সেল না থাকলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লোড এক্সেল বসানো হয়েছে। এটা ঠিক নয়। পণ্য পরিবহনে যদি এভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, তাহলে পণ্যের ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে। আমি আবারো সড়কমন্ত্রীকে বলবো এই সিস্টেমটা পরিবর্তন করতে। সারাদেশে যেভাবে আছে, সেভাবেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক করতে হবে।
মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি ও কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, পূর্বকোণ লিমিটেডের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দীন চৌধুরী ও আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবু সামাদ লাবু।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৮৫ হাজার বর্গফুট এলাকাজুড়ে অনুষ্ঠিত মেলায় দেশি-বিদেশি হরেকরকমের পণ্যসামগ্রী নিয়ে থাকছে ২০০টি স্টল। এছাড়া মেলায় ৬টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়নের পাশাপাশি রয়েছে শিশুদের জন্য কিডস জোন। সপ্তমবারের মতো আয়োজিত এ মেলা চলবে মাসজুড়ে।