বুধবার (৭ জুলাই) দিবাগত মধ্যরাত। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে হঠাৎ এলো দুঃসংবাদ। চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তে ফের ভেঙেছে রেকর্ড। বেড়েছে মৃত্যুও।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ২ হাজার ১০৯ নমুনা পরীক্ষায় ৭১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৭৭ জন নগরের এবং ২৩৬ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
একইসময়ে মারা গেছেন ৯ করোনা রোগী। এরমধ্যে ২ জন নগরের ও ৭ জন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রামে এ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭৪৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের মোট ৬২ হাজার ৯১৩ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২৭ নমুনা পরীক্ষায় ৭৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বিআইটিআইডি ল্যাবে ৬৪৭ নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ১৪৯ জনের।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষা করা হয় ১৭৮ নমুনা। এতে করোনা শনাক্ত হয় ৬২ জনের।
এছাড়া চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৬০ নমুনা পরীক্ষায় ৫৩ জন, অ্যান্টিজেন টেস্টে ৪৭৬ নমুনা পরীক্ষায় ১৮৪ জন, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১২২ নমুনা পরীক্ষায় ৪৪ জন, শেভরন ল্যাবে ১৮২ নমুনা পরীক্ষায় ৪৫ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩৮ নমুনা পরীক্ষায় ২৫ জন, জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ল্যাবে ৩৮ নমুনা পরীক্ষায় ২৪ জন এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ১০১ নমুনা পরীক্ষায় ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তদের মধ্যে লোহাগাড়ার ৭ জন, সাতকানিয়ার ১২ জন, বাঁশখালীতে ৫ জন, আনোয়ারার ৬ জন, চন্দনাইশের ১৩ জন, বোয়ালখালীতে ১৪ জন, রাঙ্গুনিয়ার ৯ জন, রাউজানের ২৭ জন, ফটিকছড়ির ২০ জন, হাটহাজারীর ৫৮ জন, সীতাকুণ্ডের ৩৩ জন, মিরসরাইয়ের ১৭ জন ও সন্দ্বীপের বাসিন্দা রয়েছেন ১৫ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশে এখন লকডাউন চলছে।
জেডএইচ