পদ ছাড়ছেন চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগ সভাপতি ইমু, ‘শেষ দিন’ জানালেন অডিও বার্তায়

চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও নতুন কমিটি নিয়ে কোনো তোড়জোড় ছিল না। কিন্তু যুবলীগের সম্মেলনের পর মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছে বর্তমান কমিটির নেতারা। মূলত যুবলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতেই কমিটি বিলুপ্তির এমন দৌড়ঝাঁপ।

এ বিষয়ে এমনই এক অডিও বার্তা দিয়েছেন নগর ছাত্রলীগ সভাপতি। অডিও বার্তায় নগর ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু বলেন, ‘প্রিয় বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। ছুটির ঘণ্টা বেজে গেছে। এ মাস ইনশাল্লাহ মহানগর ছাত্রলীগের শেষ দিন। আমি আগামীকাল রাতে ঢাকা যাচ্ছি। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে দেখা করতে। আপনারা কেউ চাইলে যার যার মতো করে যেতে পারেন। আর সিটি কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের যাওয়া উচিত।’

এ অডিও বার্তার আগে সোমবার (১৮ জুলাই) রাতে তিনি একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসও দেন। এতে তিনি লেখেন, ‘হ্যালো কি খবর? কামিং সুন।’

ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাস এবং অডিও রেকর্ডিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ‘ফেসবুক আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। এটা খেয়াল খুশি মর্জি নিয়ে চলে। এ বিষয়ে এক্সপ্লেইন করার কিছু নেই।’

আরও পড়ুন: চান্দঁগাওয়ে রেললাইন ঘেঁষা কথিত ‘হিজড়ার’ সেই মাদক—জুয়ার স্পট গুঁড়িয়ে দিল পুলিশ

রেকর্ডিং সম্পর্কে জানতে চাইল তিনি বলেন, ‘আমি মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি। কোথাও গেলে প্রটোকলটা অনেক বেশি পছন্দ করি। আমি ঢাকা যাব, হাঁটবো, চলবো, চিটাগাংয়ের সব প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি আমার পেছন পেছন হাঁটবে। দেখতে সুন্দর লাগে না? তাই আর কি।’

রেকর্ডিংয়ে এ মাস মহানগর ছাত্রলীগের শেষদিন বলে মন্তব্য করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনাকে কে বলেছে? যে বলেছে তাকে জিজ্ঞেস করেন। অডিও ম্যাসেজ যে শুনিয়েছে তাকে জিজ্ঞেস করেন। আমিতো আপনাকে শোনাইনি। সাংগঠনিকভাবে আপনাকে শোনানো হয়নি। তাহলে যে বলছে তাকে জিজ্ঞেস করেন। সে ভালো বলতে পারবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার অডিও রেকর্ডিং আপনি পাবেন কোত্থেকে? আমার অডিও রেকর্ডিংতো সাংবাদিক মহলে পাঠাইনি। যে পাঠাইছে ওকে জিজ্ঞেস করেন। হি নোস বেটার। এটা আমাকে বলে লাভ আছে?’

চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের কাছে রেকর্ডিং সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সাংগঠনিক প্রক্রিয়া স্পষ্টভাবে সংগঠনের প্যাডের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। যদি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটি আমরা ফেসবুকে জানিয়ে দিই। সভাপতি যদি এ কথা বলে থাকেন তার ব্যাখ্যাও তিনি দেবেন। তাছাড়া সভাপতিতো ভালোই কথা বলেন।’

নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাসে রাখতে সভাপতি-সম্পাদক এমন কথা বলে থাকেন বলে উল্লেখ করেন দস্তগীর। তিনি বলেন, ‘কমিটির কথা বললে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিকভাবে অ্যাক্টিভিটি বাড়ায়। তবে একটি কমিটি হবে। অবশ্য আমাদের একটি নতুন কমিটি দরকার।’

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm