পটিয়ায় দিবারাত্রির ফুটবল টুর্নামেন্ট, বর্ষীয়ান রাজনীতবিদ এয়াকুব আলী বললেন ‘ভ্রাতৃত্ব বাড়াবে তরুণ প্রজন্মে’
পটিয়ায় পর্দা নামল ১৬ দলের দিবারাত্রির জমজমাট অলিম্পিক ফুটবল টুর্নামেন্টের। প্রথমবারের মতো দিবারাত্রির এ অলিম্পিক ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে কুসুমপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম হরিনখাইন জুনিয়র ফুটবল একাদশ।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে হরিণখাইন আলতাফিয়া মাদ্রাসা মাঠে ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হয় জুলধা স্পোর্টিং ক্লাব ও দক্ষিণ হরিনখাইন স্পোর্টিং ক্লাব। খেলায় দক্ষিণ হরিনখাইন স্পোর্টিং ক্লাব ১-০ গোলে জুলধা স্পোর্টিং ক্লাবকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।
ফাইনাল খেলায় প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করেন শাহ আলম। সহকারী রেফারি ছিলেন তাসির ও সুজন।
ফাইনাল খেলা শেষে অনুষ্ঠিত হয় পুরষ্কার বিতরণ। এর আগে আয়োজন করা হয় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা।
রবিউল হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপি সভাপতি ও এয়াকুব গ্রুপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি এম এয়াকুব আলী। উদ্বোধক ছিলেন সমাজসেবক মোহাম্মদ হারুন।
প্রধান বক্তা ছিলেন মোরশেদ আলম। বিশেষ বক্তা ছিলেন কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবদুর রশিদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন গণতান্ত্রিক যুবদল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সদস্য সচিব আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী, মোহাম্মদ সেলিম, ইসমাইল, ফরিদুল আলম, নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার, জাফর, এরশাদুল আলম, বেলাল উদ্দিন হায়দার, মনসুর আলম, আবদুল কাদের, ফারুক, জানে আলম, রহিম, মাসুদ, মনির, মিজানুর রহমান, ফোরকান, হাসান, নয়ন, রিয়াদুল হক রিজভী, শিহাবুল ইসলাম ও আরিফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পপতি এম এয়াকুব আলী বলেন, তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলায় আকৃষ্ট করা, শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য, গ্রাম পর্যায়ে এ ধরনের ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এ ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে গ্রাম থেকে খেলোয়াড়দের যেমন প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে উঠবে, পাশাপাশি দেশের তৃণমূল পর্যায়ের খেলোয়াড়রাও তাদের স্কিল বাড়ানোর সুযোগ পাবে।
রাজনীতিবিদ এয়াকুব আলী বলেন, বাংলাদেশে খেলাধুলার প্রাণ ফুটবল। যদিও অনেক কারণেই ফুটবল তার সোনালি অতীত হারিয়েছে। এটিকে ফিরিয়ে আনার জন্য এ ধরনের টুর্নামেন্টের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ফুটবল জনপ্রিয় ও আবেগময় খেলা মন্তব্য করে বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ বলেন, এ ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে জাতীয় মানের খেলোয়াড় তৈরি হওয়া সম্ভব। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ, নিষ্ঠা ও সহনশীলতা বৃদ্ধি করতেও এটি জরুরি।
কেএ/আলোকিত চট্টগ্রাম