চট্টগ্রাম নগরের ফলমণ্ডি ও রেয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় ফেলে দেওয়া পচা ফলমূলসহ সবজি সংগ্রহ করতে দেখা যায় অনেককে। সংগ্রহণ করা এসব খাদ্যসামগ্রী কেটে পরিস্কার করে বিক্রি করা হয় নিম্নআয়ের মানুষের কাছে। তবে এবার একই প্রক্রিয়ায় সবজি ও ফলমূল বিক্রি করতে দেখা গেছে ‘উচ্চাভিলাষী’ভোক্তাদের পছন্দে থাকা খুলশির বাস্কেট সুপারশপে। এখানেই শেষ নয়, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারসহ বাসি মাছ-মাংস চলতি দিনের ট্যাগ লাগিয়ে বিক্রিরও। এসব অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রতিষ্ঠানকে করা হয়েছে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী এ অভিযান চালান। এতে সহায়তা করে পরিবেশ অধিদপ্তর ও খুলশি থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন : হঠাৎ হানা—এবার ধরা খেল খুলশীর সুপারশপ ‘বাস্কেট’
জানা যায়, অভিযানে বাস্কেট সুপারশপে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার করায় অপারেশন ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের মানে ধরা পড়ে অসামঞ্জস্যতা। সবজি ও ফলমূল বিক্রির স্থানে পচা সবজি ও ফলমূল কেটে পুনরায় প্যাকেট করে বিক্রি করা হচ্ছিল। এছাড়া বাসি মাছ-মাংসে চলতি দিনের ট্যাগ লাগিয়ে ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা করছিল প্রতিষ্ঠানটি। এসব অপরাধে পরিবেশ আইনে ১০ হাজার টাকা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এই সুপারশপকে। এসময় মজুদ করা ৩১ কেজি পলিথিন ব্যাগ জব্দ করা হয়। জরিমানা আদায়ের পর সুপারশপের অপারেশন ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমানকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এদিকে একইদিন খুলশি এলাকার স্বপ্ন সুপারশপেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় সুপারশপের ভেতরে ইমপেরিয়াল ক্যাফে ও রেস্টুরেন্টে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ফ্রিজে বাসি খাবার রেখে বিক্রি করার অপরাধে মালিক নিজাম উদ্দীনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উল্লেখ্য, নিম্নমানের খাদ্যপণ্য বিক্রি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস প্রসেস করা, কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ না থাকাসহ পাঁচটি অপরাধে দুবছর আগেও আড়াই লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছিল বাস্কেট সুপারশপকে।
আরএস/আরবি