এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নোবেল হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এনাম ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিকাল ৫টার দিকে পূর্ব বড় ভেওলা থেকে স্থানীয় জনগণ এনামকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে চকরিয়া থানার পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
মঙ্গলবার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সম্ভাব্য ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসির উদ্দিন নোবেলকে গুলি করে হত্যা করে এনাম ডাকাত। এ সময় তার সঙ্গে আরো কয়েকজন সন্ত্রাসী ছিল। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার নিহতের ছোট ভাই মামুনুর রশীদ বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. খলিল উল্লাহ চৌধুরীকে প্রধান আসামি করা হয়। তিনি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। এছাড়া মামলায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১২ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতা নোবেল হত্যা—৩২ জনকে আসামি, তালিকায় আওয়ামী লীগ নেতাও
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে কৌশলে পালাতে গিয়ে পূর্ব বড় ভেওলা এলাকায় পৌঁছলে স্থানীয় জনগণ এনামকে দেখে ফেলে। জনগণ তাকে গণধোলাই দেয়। পরে খবর পেয়ে চকরিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ সময় এনাম ডাকাতের বিচারের দাবিতে স্থানীয় জনতা থানা ঘেরাও করে শ্লোগান দিতে থাকে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এনাম পুলিশ প্রহরায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানা গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে নগরের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন- চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের দিয়ারচর গ্রামের মো. ইউনুছের ছেলে নুরুল আলম (১৯), একই ইউনিয়নের বেতুয়ারকুল গ্রামের বশির আহমদের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম (১৯) ও নাদির হোসেনের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৩৮)।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসীদের গুলিতে ‘এমইএস কলেজ’ ছাত্রলীগ নেতা নিহত
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দুপুরে চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলায় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা নাসির উদ্দিন নোবেলকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় আরো ৯ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। আহতরা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে আজিজুল হক নামের এক ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানায় তার পরিবার।