চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাটে ট্রাক–সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় স্ত্রী ডলি আকতার (৪০), শ্যালিকা লায়লা বেগমের (৩৫) পর নন্না মিয়াও (৫০) না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
গতকাল বুধবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান। নন্না মিয়া পেশায় বাবুর্চির কাজ করতেন। এ নিয়ে সর্বমোট তিনজন নিহত হলেন।
নাজিরহাট মহাসড়ক পুলিশ ফাঁড়ির উপ–পরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ মোক্তার হোসেন জানান, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় আজ ভোরে নন্না মিয়া মারা যান। এর আগে স্ত্রী ডলি, শ্যালিকা লায়লা নিহত হন। তাদের বাড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভাধীন শেখ আহম্মদ তালুকদার বাড়িতে।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে স্ত্রী, শ্যালিকা ও শিশু কন্যাকে নিয়ে নাজিরহাট বাজারে ফ্রিজ ক্রয় করতে যাচ্ছিলেন নন্না মিয়া। চট্টগ্রাম–খাগড়াছড়ি সড়কের ডাইনজুরী এলাকায় ট্রাকের সাথে তাদের বহনকারী অটোরিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে স্ত্রী ডলি আকতার প্রাণ হারান। পরে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। ঐদিন গভীর রাতে শ্যালিকা লায়লা বেগমও মারা যান। তবে দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যায় শিশু কন্যাটি।
উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজ উদ দৌলাহ্ বলেন, ‘মর্মান্তিক এই সড়ক দুর্ঘটনায় একই এলাকার তিনজনের প্রাণহানিতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’
আরবি