নগরে নবজাতক চুরির ঘটনায় নানিসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
নবজাতকের নানিকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি চুরির ঘটনা স্বীকার করেন। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যে বাকি দুজনকে হাটহাজারীর ফতেহাবাদ এলাকা থেকে আজ (বুধবার) গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়ারা হলেন- মো. হারুন (৫৫), মনোয়ারা বেগম (৩৭) ও রাবেয়া খাতুন (৩২)। উদ্ধার হওয়া নবজাতক বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে।
আরও পড়ুন: মানবিক পুলিশ—‘মা ভিক্ষুক’, নবজাতকের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিলেন ওসি
পুলিশ জানায়, নবজাতকের মা তানিয়া বেগমকে গর্ভাবস্থায় তার স্বামী বাড়ি থেকে বের করে দেন। উপায় না দেখে অসহায় তানিয়া অবস্থান নেন তার মায়ের বাড়িতে। সেখানে হঠাৎ একদিন তানিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই সময় তার মা মোছাম্মৎ রাবেয়া খাতুন ও স্বামী মো. জাহাঙ্গীর চিকিৎসার খরচ বহনে অপারগতা জানান।
পরে তানিয়ার মা রাবেয়া নবজাতককে বিক্রির পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী মো. হারুন ও মনোয়ারা বেগমের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ৫৭ হাজার টাকা নেন তিনি।
এরপর তানিয়ার সন্তান জন্মদানের পর অসুস্থ নবজাতককে চিকিৎসার জন্য গত ২ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করান নানি রাবেয়া বেগম।
গত ৫ অক্টোবর দুপুরের দিকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রাবেয়া খাতুন তার মেয়ে তানিয়াকে কৌশলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এরপর তানিয়ার সন্তানকে হাসপাতাল থেকে বের করে হারুন ও মনোয়ারা বেগমের কাছে তুলে দেন।
আরও পড়ুন: লাশ নিয়ে টানাটানি—ধাত্রীর ভুলে মা ও নবজাতকের মৃত্যু
এদিক তানিয়া হাসপাতাল এসে সন্তানের খোঁজ করলে তার মা হারিয়ে গেছে বলে জানান। এ কথা শুনে তানিয়া থানায় গিয়ে সন্তান চুরির ঘটনায় অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে একপর্যায়ে নানি রাবেয়া নাতিকে চুরির কথা স্বীকার করেন। এরপর তাঁর দেওয়া তথ্যে হাটহাজারী থানার ফতেহাবাদ এলাকা থেকে মো. হারুন ও মনোয়ারা বেগমের কাছ থেকে নবজাতককে উদ্ধার করে পুলিশ।