নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘শাহাদাত’। আনসার আল ইসলাম-এর মতাদর্শে পরিচালিত হয় এই জঙ্গি সংগঠন। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় রয়েছে এ জঙ্গি গ্রুপের সদস্যারা। এর মধ্যে ৫-৬ জন পালিয়ে গেলেও ধরা পড়েছে ২ জন।
র্যাব-৭ এর অভিযানে ধরা পড়ে এ দুই জঙ্গি। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড ভেল্লাপাড়া ব্রিজের দক্ষিণ পাশের একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে আলোকিত চট্টগ্রামকে নিশ্চিত করেন র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম।
গ্রেপ্তার দুই জঙ্গি হলেন— পঞ্চগড় জেলার মো. ফজলুল হকের ছেলে আসাদুজ্জামান আসিফ (২২) ও পাবনা জেলার গোলাম মওলার ছেলে আবদুল আহাদ ইসলাম (২১)। তারা চট্টগ্রামের পটিয়ার জামিয়া আল ইসলাম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব জানান, গত ২৪ মে ঢাকার গুলিস্তান ও সাইনবোর্ড এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর ‘শাহাদাত’ সম্পর্কে তথ্য মিলে। স্তিমিত হয়ে পড়া জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের আড়ালে নতুন ওই সংগঠনটির মাধ্যমে তারা কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চান্দগাঁও ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে করে র্যাব-৭। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কর্ণফুলী শিকলবাহা ইউনিয়নের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও পালিয়ে যায় আরও পাঁচ-ছয় জঙ্গি। ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু উগ্রবাদী ও জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব বলেন, ঢাকা থেকে শাহাদাতের তিন শীর্ষ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্যে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থেকে দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য মূলত নিষিদ্ধ সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ তার মতাদর্শে নতুন দল তৈরি করে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, নতুন এ সংগঠনটি সালাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি ভারত থেকে পরিচালনা করেন। যোগাযোগের জন্য তারা ‘বিপ’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করেন। সম্প্রতি ঢাকায় তিন সদস্য গ্রেপ্তারের পর অন্য সদস্যরা সতর্ক হয়ে যায়। পাশাপাশি তাদের নিয়ন্ত্রণকারী সালাউদ্দিন একটি অডিও বার্তার মাধ্যমে গ্রুপের সব সদস্যকে নিষ্ক্রিয় হয়ে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার জন্য বার্তা দিয়েছেন।
আলোকিত চট্টগ্রাম