ধ্বংসযজ্ঞের পর রাতের আঁধারে জেনিন ছাড়ল ইসরায়েলি সেনারা

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবির ছেড়ে চলে গেছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। সোমবার ভারী অস্ত্রসস্ত্রসহ ১ হাজারের বেশি সেনা শহরটিতে আসে। এরপর শুরু হয় তাদের ধ্বংসযজ্ঞ। যা বুধবার (৫ জুলাই) মধ্যরাত পর্যন্ত চলে।

ইসরায়েলিদের এবারের হামলায় অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। অপরদিকে ফিলিস্তিনিদের হামলায় প্রাণ গেছে এক ইসরায়েলি সেনার।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের দুপ্রত্যক্ষদর্শী জানান, তারা দেখতে পান রাতের আঁধারে ইসরায়েলি সেনাদের বহর জেনিন ছেড়ে চলে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে তাদের কথিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শেষ হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

ইসরায়েলিদের হামলায় যে ১২ ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধা।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর দাবি, জেনিনে বিপুল অস্ত্র মজুদ করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র যোদ্ধারা। যা তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আর এ হুমকি মোকাবিলায় জেনিনের শরণার্থী শিবিরে জঙ্গি অবকাঠামো ধ্বংস করতে অভিযান চালিয়েছে তারা।

সোমবার ড্রোন হামলার মাধ্যমে তাদের এ ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়।

ইসরায়েলি সেনারা চলে যাওয়ার পর জেনিনে ফেরা শুরু করেন সাধারণ মানুষ। তারা সামরিক আগ্রাসনের মুখে শরণার্থী শিবির ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।

রয়টার্স জানায়, সাধারণ মানুষ রাতের বেলাতেই ফিরে এসে নিজেদের বাড়িতে যান; দেখার চেষ্টা করেন এ হামলায় তাদের বাড়ির জিনিসপত্র কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে এক কিলোমিটারের কম জায়গাজুড়ে তৈরি জেনিন শরণার্থী শিবিরে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস। সাম্প্রতিক সময়ে এখানে ঘন ঘন হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। এতে শিবিরে বড় ধরনের সংঘর্ষের শঙ্কা করছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

সেনারা জেনির ছাড়ার সময় ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে গাজা উপত্যকা থেকে পাঁচটি রকেট ছোঁড়া হয়। তবে পাঁচটি রকেটের সবগুলোই ধ্বংস করার দাবি করেছে তেল আবিব। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কারা রকেট ছুঁড়েছে সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm