পটিয়ায় সরকারি কর্মকর্তার ১২ লাখ ৪২ হাজার টাকা ছিনিয়ে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে জামিন নিতে আদালতে যান মামলার দুনম্বর আসামি নুরুল আজিম বাচা ওরফে ইয়াবা বাচা (২৬)। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করে বাচাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বাচার দেওয়া তথ্যে রোববার রাতেই ভেল্লাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় আরও একজনকে।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে নুরুল আজিম বাচা ওরফে ইয়াবা বাচা পটিয়া কুসুমপুরা ইউনিয়নের পূর্ব মনসা এলাকার মো. হোসেনের ছেলে। এছাড়া সুজন দে (২৯) পটিয়া থানার কোলাগাঁও কালারপুল গঙ্গা ডাক্তারের বাড়ির দুলাল দে’র ছেলে।
আরও পড়ুন : ভারত থেকে আতশবাজি এনে কয়লারমুখ চেকপোস্টে ধরা খেল ২ যুবক
জানা গেছে, নুরুল আজিম বাচা ওরফে ইয়াবা বাচার বিরুদ্ধে মাদক, হত্যা চেষ্টাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাব রেজিস্ট্রেশন সদর রেকর্ড রুমে নকলনবীশ পদে কর্মরত রয়েছেন শফি। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় ঘরের টাইলস কেনার জন্য নগদ ১২ লাখ ৪২ হাজার টাকা নিয়ে তিনি পটিয়া থেকে চট্টগ্রাম শহরে আসছিলেন। শান্তিরহাট থেকে একটি লোকাল বাসে ওঠেন তিনি। সকাল ১১টা ৪০মিনিটের দিকে বাসটি শিকলবাহা ভেল্লাপাড়া ব্রিজের পশ্চিম পাশে বালুরটাল এলাকায় পৌঁছলে গাড়ি অবরোধ করে ফাঁকা গুলি করে আসামিরা। এসময় বাসের ড্রাইভার ও যাত্রীরা পালিয়ে গেলে শফিকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শফি সাতজনের নাম উল্লেখ করে আরও ৬-৭ জনকে অজ্ঞাত করে কর্ণফুলী থানায় মামলা করেন।
ভুক্তভোগী শফি বলেন, মামলায় এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কর্ণফুলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর হোসেন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, শফি হত্যাচেষ্টা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি নুরুল আজিম বাচা ওরফে ইয়াবা বাচাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এএইচ/আরবি
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।