আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি (সোমবার ও মঙ্গলবার) দুদিন সারাদেশের কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এ ঘোষণা দিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. সুলতান হোসেন খান।
এ সময় ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আমদানিকারকের কাছে শুল্ক কর পাওনা থাকলে সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের লাইসেন্স নবায়ন না করার বিধান বাতিল, উত্তরাধিকার অনুকূলে লাইসেন্স হস্তান্তর শর্ত শিথিল, শুল্ককর পরিশোধ না করলে লাইসেন্স ও অর্থদণ্ডের বিধান বাতিল, মূল লাইসেন্স বাতিল হলে রেফারেন্স লাইসেন্সের বিধান বাতিল, দেশি-বিদেশি যৌথ মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিকে লাইসেন্স প্রদান না করা এবং সিপিসি ভুলে ২০০ থেকে ৪০০ শতাংশ জরিমানার আদেশ বাতিল করার দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের ৭৩ কনটেইনার আমদানি পণ্য ধ্বংস হবে ১৪ নভেম্বর
সংবাদ সম্মেলনে মো. সুলতান হোসেন খান বলেন, কাস্টমস্ এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০১৬ জারির সময় ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও আলোচনার কথা বলা হলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। এছাড়া সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের মৌলিক অধিকার পরিপন্থী বিধিগুলো সংশোধনের দাবি জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দেওয়া হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং গত অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনার সঙ্গে আরও কঠিন শর্ত যুক্ত করে কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ জারি করা হয়েছে। এরপর চলতি অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্তের জন্য লাইসেন্সিং বিধিমালার কয়েকটি ধারা ও উপধারা সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হলেও কোনোরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
মহাসচিব আরও বলেন, আমাদের দাবিগুলোর বিষয়ে কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত বছরের ৭ জুন সারাদেশে একদিনের কর্মবিরতি পালন করা হয়। একই বছর জুনের শেষে আবারও দুদিনের কর্মবিরতির ঘোষণা করা হলে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এক মাসের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু এরপর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই ফেডারেশনের পক্ষ থেকে কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ এর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস পরিপন্থী বিধিগুলো সংশোধনের দাবিতে আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি সারাদেশে সকল কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনে দুদিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি শামছুর রহমান, সহসভাপতি শেখ মো. মোখলেছুর রহমান লাভলু, অর্থ সচিব একেএম আকতার হোসেন ও বন্দর বিষয়ক সচিব মো. খায়রুল বাশার।