মিরসরাইয়ে দুলাভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে শ্যালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের শুভপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুলাভাই নুর উদ্দিনকে (৩৮) পিটিয়ে হত্যা করে শ্যালক মিজান (৩২) ও তার সহযোগীরা।
নিহত নুর উদ্দিন উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের মেহেদীনগর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে। তিনি বারইয়ারহাট-রামগড় সড়কের সিএনজিঅটোরিকশা চালক।
আরও পড়ুন: প্যানেল মেয়রের ‘টর্চারসেলে’ যুবককে পিটিয়ে হত্যা
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর শুভপুর বালুমহাল এলাকায় পূর্ব ঘটনার জের ধরে শ্যালক মিজান, ইকবালসহ কয়েকজন মিলে নুর উদ্দিনকে বেদম মারধর করে। মারধরের একপর্যায়ে নুর উদ্দিন জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান।
পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এসময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে শ্যালকের আচরণ সন্দেহজনক হলে তারা পুলিশে খবর দেন।
জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং শ্যালককে সেখান থেকেই আটক করে।
জানা যায়, নিহত নুর উদ্দিনের শ্যালক মিজান শুভপুর বালু মহালের মেশিনম্যান হিসেবে কাজ করে। তার সঙ্গে হেলপার হিসেবে কাজ করতো তার ভাগ্নে (নুর উদ্দিনের বড় ছেলে) ইমন (১৫)।
ছেলের বেতনের টাকা নিয়ে দুলাভাই নুর উদ্দিনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মিজান দুলাভাইকে টাকা আনতে শুভপুর যেতে বলে। সেখানে গেলে মিজান দলবল নিয়ে নুর উদ্দিনকে বেঁধে বেদম প্রহার করে।
এছাড়া নুর উদ্দিন তার শ্যালিকা ফারহানার সঙ্গে পরকীয়াজনিত ব্যাপারেও দুলাভাইয়ের উপর ক্ষিপ্ত ছিল মিজান।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর হোসেন মামুন বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে নুর উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করি। এসময় তার শ্যালক মিজানকে আটক করি।
আরও পড়ুন: খুন—তাবিজে কাজ হয়নি, যুবক এলোপাতাড়ি কোপালেন নারী বৈদ্যকে
তিনি বলেন, লাশের সুরতাহালে দেখা যায়, হাত-পায়ে কোনো কিছু দিয়ে বাঁধার চিহ্ন রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতে চামড়ার ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধা হয়ে আছে।
ওসি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি। ঘটনার তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজিজ/এসি
