দম্পতিকে মারধর: আদালতের নির্দেশকে ‘বুড়ো আঙুল’ পুলিশের

চন্দনাইশে এক দম্পতিকে মারধরের ঘটনায় আদালতের নির্দেশের পরও মামলা নিচ্ছে না থানা পুলিশ।

স্বর্ণ চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গত ১৬ জুন আবদুল হাকিম (৬০) ও হামিদা আকতারকে (৪২) ঘরে বন্দি করে মারধর করেন হাকিমের চাচাতো ভাই গোলাম আজাদ শিশু। এ সময় দুই চাচাতো ভাই মিজানুর রহমান ও কেএম ইলিয়াছ ওরফে ফিরোজ এবং চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী রিফা খানও নির্যাতন চালায় তাদের ওপর।

রোববার (২৭ জুন) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন মামলার বাদি হামিদা আকতারের ভাই ফারুক ইকবাল টিপু।

টিপু বলেন, চন্দনাইশে গ্রামের বাড়িতে অনুষ্ঠান আছে জানিয়ে হাকিম ও হামিদাকে ডেকে আনেন গোলাম আজাদ শিশু। এরপর তাদের ঘরে নিয়ে গেলে আজাদের স্ত্রী রিফা খান স্বর্ণ চুরির অভিযোগ তুলেন। এ সময় তারা স্বর্ণ চুরির দায় অস্বীকার করলে পাশের দুটি ঘরে দুই জনকে বেঁধে পাইপ ও রড দিয়ে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে হামিদার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে বৈদ্যুতিক শট দেওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, নির্যাতনের একপর্যায়ে জোর করে হাকিম ও হামিদা আকতারের কাছ থেকে চুরি করেছে মর্মে স্ট্যাম্পে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়। পরে আমি গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আমার বোন ও ভগ্নিপতিকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রিইসিস সেন্টারে ভর্তি করায়। নির্যাতনের ফলে আমার বোন ও ভগ্নিপতির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পচন ধরেছে। তারা এখন পঙ্গু হওয়ার পথে। জায়গা-সম্পত্তির জন্য তাদের ওপর এমন নির্যাতন চালানো হয়েছে।

ঘটনার পর দিন থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করে নি। পরে কোর্টে সি.আর মামলা করি। কোর্টের নির্দেশের ৫ দিন পরও পুলিশ এখনো এটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি। মূলত অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তাদের পক্ষে কথা বলছে। চন্দনাইশ থানা পুলিশের পক্ষ হতে আমাদের ঝামেলায় না গিয়ে ঘটনা আপষে নিষ্পত্তি করতে বলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন টিপু।

এ বিষয়ে হাকিমের চাচাতো ভাই কেএম ইলিয়াছ ওরফে ফিরোজ বলেন, তাদের মারধর করা হয়নি। স্বর্ণ চুরির ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতেই এ দম্পতি এবং তাদের আত্মীয়রা মিলে নির্যাতনের মিথ্যা গল্প সাজাচ্ছেন। স্বর্ণ চুরির বিষয়ে তাদের শুধুমাত্র জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।

মামলার বিষয়ে চন্দনাইশ থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেননি। কোর্টের নির্দেশনা পেলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!