ঢাকার নওয়াব এস্টেটের রত্নাদি পরিদর্শন কমিটি গঠন করেছে সরকার। ১১ সদস্যের কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে সভাপতি ও ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দের ৬ আগস্ট পূর্ববঙ্গ ও আসাম সরকারের পক্ষে কমিশনার, ঢাকা বিভাগ এবং নবাব সলিমুল্লাহ বাহাদুর সি.এস.আই এর মধ্যে সম্পাদিত বন্ধকি চুক্তি বা ইনডেনচার অনুসারে অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে ‘দরিয়া-এ-নূর’ হীরকখন্ডসহ বিভিন্ন প্রকার অলংকারাদি সরকারের হেফাজতে নেয়া হয় মর্মে তথ্য রয়েছে।
আরও পড়ুন : ওরা প্রতারক, ঘোরেন বিদেশি মুদ্রা নিয়ে
জানা যায়, আর্থিক সংকটের কারণে নবাব পরিবার রেহেন দলিলমূলে তৎকালীন সরকারের কাছ থেকে ১৪ লাখ রূপী শতকরা ৩ ভাগ সুদে ৩০ বছরের মধ্যে পরিশোধের শর্তে ঋণ নেয়। ওই ঋণ নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে না পারায় এটি এখন কোর্ট অব ওয়ার্ডসের সম্পত্তি। যা বর্তমানে ভূমি সংস্কার বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সোনালী ব্যাংকের ভল্টে সংরক্ষিত রয়েছে মর্মে নথিতে দৃশ্যমান হয়। তবে সুদীর্ঘকাল একাধিক কমিটি গঠিত হলেও কেউ এগুলো খুলে দেখেছেন এমন তথ্য পাওয়া যায় না।
১১৭ বছর আগে রক্ষিত দরিয়া-এ-নূর হীরকখণ্ডসহ বিভিন্ন প্রকার অলংকারদির বর্তমান অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সরকার কমিটি গঠন করে।
কমিটি লকার খুলে প্রাপ্ত রত্নাদির বিবরণ প্রস্তুত করে প্রতিবেদন দাখিল করবে। এরপর আইনগত মতামত গ্রহণপূর্বক বিভিন্ন রত্নাদির রক্ষনাবেক্ষণের বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নর, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং একজন রত্ন বিশেষজ্ঞ।
আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম