‘ডাইল কাদের’ আবারো পুলিশের জালে

১৪ বছর বয়সেই মাদক ব্যবসায়ে হাতেখড়ি। এরপর বেড়ে ওঠা নগরের বরিশাল কলোনিতে ‘ডন’ ফারুকের ছত্রছায়ায়। কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিভিন্ন স্পটে তার মাদক বিক্রির ‘কমিশন এজেন্ট’ আছে। কিন্তু সোমবার (২৮ জুন) শেষ রক্ষা হয়নি। আবারো পুলিশের হাতে ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল ও দুই সহযোগীসহ আটক হয় আবদুল কাদের ওরফে ডাইল কাদের।

১৮ মামলার আসামি ডাইল কাদেরের অপর এক সহযোগী রাজীব দাশ কৌশলে পালিয়ে গেলেও মো. নিশান (৩০) ও মো. শিপন (২৫) এখন কোতোয়ালী থানা পুলিশের কবজায়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই সুকান্ত চৌধুরী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন নগরের চামড়ার গুদাম এলাকায়। এক পর্যায়ে গতিবিধি সন্দেহ হওয়ায় পুরাতন ফিশারিঘাট এলাকায় একটি দ্রুতগামী মিনি পিকআপকে দাঁড়ানোর সংকেত দেয় পুলিশ। এ সময় একজন কৌশলে পালিয়ে গেলেও অপর তিনজনকে আটক করে তারা। আটককৃতদের স্বীকারোক্তি অনুসারে গাড়িতে তল্লাশি করে ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল পাওয়া যায়।

এ ফেন্সিডিলের চালান কুমিল্লা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল বলে জানায় আটককৃতরা।

এর আগে বহুবার র‌্যাব ও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় ‘ডাইল কাদের’। প্রতিবার জামিনে বের হয়ে সেই ফেন্ডিডিল ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। ইয়াবার চাইতে ফেন্সিডিলে বেশি লাভ হওয়ায় সে এ ব্যবস্থা ছাড়েনি। বর্তমানে ২৫০০ টাকায় কিনে ৩৩০০ টাকায় বিক্রি করেন প্রতি বোতল। সেই সঙ্গে নিজস্ব কর্মচারী দিয়ে ‘হোম ডেলিভারি’ দেয় বলেও জিজ্ঞাসাবাদে জানান কাদের।

কাদেরের নামে নগরের কোতোয়ালী থানায় ১টি, ডবলমুরিংয়ে ১৬টি, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে ১টিসহ ১৮টি মাদকদ্রব্য আইনের মামলা আছে। এছাড়া তার সহযোগী নিশানের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১টি ও কুমিল্লা দাউদকান্দি থানায় ১টি মাদকদ্রব্য আইনে মামলা আছে।

তাদের বিরুদ্ধে এসআই সুকান্ত চৌধুরী বাদি হয়ে মাদকদ্রব্য আইনের মামলা দায়ের করেছেন।

ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!