কক্সবাজারের টেকনাফে হচ্ছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট। যেখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত একাধিক বহুতল ভবন হবে। থাকবে গবেষণাধর্মী বিচারিক তথ্য-উপাত্ত, মিউজিয়াম, লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন দেশের গবেষকদের গবেষণায় অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা। এছাড়া গবেষণায় নিয়োজিতদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা এবং রেস্ট হাউসও থাকবে।
আইন আদালত ও বিচার বিষয়ক গবেষণার জন্য এ রিসার্চ ইনস্টিটিউট হবে টেকনাফ উপজেলার শীলখালী মৌজায়।
এদিকে ইনস্টিটিউট বাস্তবায়নের জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টেকনিক্যাল কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
এর আগে প্রধান বিচারপতি শুক্রবার (১৭ মে) বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী সমুদ্রসৈকত ঘেঁষা মেরিন ড্রাইভ রোডের পাশে নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা।
ইনস্টিটিউটের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শনকালে প্রধান বিচারপতি স্বল্প সময়ের মধ্যে ভূমি বরাদ্দ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভূমি উন্নয়নসহ সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সফল বাস্তবায়নের জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টেকনিক্যাল কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। পরে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম মোনাজাত পরিচালনা করেন।
প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন— আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো.আশফাকুল ইসলাম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি জে বি এম হাসান, বিচারপতি জাফর আহমেদ, বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী, বিচারপতি মো. ইকবাল কবির, বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান।
এছাড়া সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী। সমন্বয়কারী কর্মকর্তা হিসেবে থাকবেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মুনসী আব্দুল মজিদ।
আলোকিত চট্টগ্রাম
