টেকনাফে বসতঘর থেকে ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা মামলায় মো. আইজ উদ্দিনকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অপর দুআসামি খালাস পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) শুনানি শেষে কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. আইজ উদ্দিন আদালতে হাজির ছিলেন।
আরও পড়ুন: যাত্রী সেজেই ইয়াবা পাচার, সেই ৩ যুবক এবার ধরা খেল মিরসরাইয়ে
দণ্ডিত আসামি আইজ উদ্দিন টেকনাফের হ্নীলা নয়াপাড়ার পশ্চিম সাতঘরিয়াপাড়ার মো. হোসেনের ছেলে।
খালাস পাওয়ারা হলেন- পলাতক আসামি মো. শামসুদ্দিন ও হাজতি আসামি মো. আইয়ুব।
রাষ্ট্রপক্ষে পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম মামলাটি পরিচালনা করেন। আসামির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট বেগম শামীম আরা স্বপ্না।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে জেলা জজ আদালতের নাজির বেদারুল আলম জানান, ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর টেকনাফের হ্নীলা পশ্চিম সাতঘরিয়াপাড়ার মো. আইজ উদ্দিনের বসতবাড়ি থেকে ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব-৭। পরে এ ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন টেকনাফ ক্যাম্পের ডিএডি মো. আব্দুর রহমান।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আতিক উল্লাহ। ২০২০ সালের ১৫ মার্চ মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর চার বছর ৫ মাসের মাথায় রায় দিয়েছেন আদালত।