ইয়াবার বড় বাণিজ্য, জেলেই থাকতে হবে ১১ গডফাদারকে

২০১৭ সালে ২০ লাখ ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় করা মামলায় ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৩ নভেম্বর) চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ রায় দেন।

আসামিদের মধ্যে মাকতুল হোসেন, মো. নূর, হেলাল উদ্দিন ওরফে হেলাল, আব্দুল খালেক ওরফে বুদইন্যা, মো. লোকমান, জানে আলম, এনায়েত উল্লাহ ও নুরুল মোস্তফাকে ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া মোজাহার মিয়া, আব্দুল জলিল এবং আব্দুর নুরকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: একাত্তরের বীর, জেলে জেলেই কেটেছে জীবন—সাঁঝবেলাটা কি রাঙাতে পারবেন চট্টগ্রামের ইউনুছ?

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ এর ১৯ (১)-এর টেবিল ৯ (খ) ধারায় ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড-৩৫এ ধারার বিধান মোতাবেক হাজতবাসকালীন সময় কারাদণ্ড থেকে বাদ যাবে বলেও উল্লেখ করেন আদালত।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরও বলেন, আব্দুল জলিল ও আব্দুন নুর ছাড়া বাকি আসামিরা রায়ের সময় হাজির ছিলেন। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল র‌্যাবের অভিযানে নয়জনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ২০ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র‌্যাবের তৎকালীন ডিএডি অমল চন্দ্র বাদী হয়ে নয়জনের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এফবি মোহসেন আওলীয়া নামে একটি বোটে করে মিয়ানমার থেকে মাদক আসার খবরে গভীর সমুদ্রে অভিযান চালায় র‌্যাব। এসময় পতেঙ্গার ১১ নম্বর কয়লার ডিপো এলাকার পাইলট জেটি থেকে বোটটি থামানো হয়। এসময় বোটে বিশেষভাবে লুকানো ১০ কোটি টাকা সমমূল্যের ২০ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। বোটে উপস্থিত সবাই স্বীকারোক্তি দেন এর আগেও ১৬ লাখ, ২০ লাখ, ২০ লাখ ও ২০ লাখ করে চার মাসে চারবার বাংলাদেশে ইয়াবার চালান পাচার করেন তারা। তাদের দেওয়া তথ্যে মাদকের মূলহোতা মোতাহার মিয়া ও জলিল মিয়া ওরফে লবন জলিলকে আটক করে পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm