ছিনতাইয়ের ‘নাটক’ করেও হয়নি শেষ রক্ষা, পুলিশের হাতে ধরা

ছিনতাইয়ের ‘নাটক’ করেও শেষ রক্ষা হলো না আলাউদ্দিন ও পলাশের। আত্মসাৎ করা ৮০ হাজার টাকাসহ কোতোয়ালী থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।

মো. আলাউদ্দিন (৫৫) ভোলা দিঘলদী ইউপির আমিন উদ্দিন হাজী বাড়ির তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে। আর মো. শেখ ফরিদ ওরফে পলাশ (২৫) একই এলাকার উত্তর দিঘলদী দরবেশের বাড়ির জাহাঙ্গীর দরবেশের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রিয়াজউদ্দিন বাজারের নিউ যমুনা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী কাঁচামাল ব্যবসায়ী মো. মহিউদ্দিনের আড়তে চাকরি করত আলাউদ্দিন ও পলাশ। মহিউদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের বাকিতে পণ্য সরবরাহ করতেন। পরে সেই টাকা সংগ্রহ করতেন আলাউদ্দিনকে দিয়ে। এভাবে বেশ কয়েকবার টাকা সংগ্রহ করে এনে দোকানের হিসাবরক্ষককে জমা দেন আলাউদ্দিন।

আরও পড়ুন : সাবধান—নগরে ঘুরছে নারী ছিনতাইকারী দল, একা পেলেই ঘিরে ধরে

৩ অক্টোবর সকালে আলাউদ্দিনকে বকেয়া ৮০ হাজার টাকা আনতে কক্সবাজারের রামুর মো. শুক্কুর সওদাগরের কাছে পাঠান মহিউদ্দিন। ওইদিন রাত ১০টার মধ্যে টাকা নিয়ে আসার কথা থাকলেও দোকানে আসেনি আলাউদ্দিন। এ সময় তার ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। এর কয়েক ঘণ্টা পর আরেক কর্মচারী পলাশ ফোন দেন মহিউদ্দিনকে। ফোন করে বলে, আলাউদ্দিন ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। আলকরণ এলাকায় তাকে ছুরিকাঘাত করে টাকা লুট করেছে ছিনতাইকারীরা।

এ সময় আলাউদ্দিনকে নিয়ে মেডিকেলে যাওয়ার কথা জানায় পলাশ। রাত ৩টায় আলাউদ্দিনকে দোকানে নিয়ে আসে সে। তার হাতে ১৯টি সেলাই হয় বলে জানায়। পরদিন মহিউদ্দিন তাদের ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইলে তারা অসংলগ্ন কথা বলতে থাকে। এরপর তারা দোকান থেকে পালিয়ে যায়।

মহিউদ্দিন কোতোয়ালী থানায় ওইদিন অভিযোগ দিলে নিউমার্কেটের বাটা শো রুমের সামনে থেকে আলাউদ্দিন ও পলাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!