অর্ধশতাধিক নারীর নামে ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে আপত্তিকর পোস্ট করে ব্ল্যাকমেইলের অপরাধে আল মাসুম (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সাইবার ইউনিট।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ভোরে নগরের ইপিজেডের নিউমুরিং তক্তারপুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আল মাসুম একই এলাকার বাছুর আলী সওদাগর বাড়ির আবু শুক্কুরের ছেলে।
আরও পড়ুন : ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেইল করে ভিডিও বানানো মাদরাসা শিক্ষক ধরা খেল
সাইবার ইউনিট জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে নগরের বিভিন্ন থানা এলাকার নারী ভিকটিমরা অভিযোগ করে আসছিলেন অজ্ঞাত ব্যক্তি ভিকটিমদের ছবি দিয়ে ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে অশ্লীল ও আপত্তিকর ক্যাপশন দিয়ে বিভিন্ন ছবি পোস্ট করছে। বিভিন্ন সময় ওই আইডি থেকে ভিকটিমদের ব্যবহৃত ফেসবুক আইডিতে এবং তাদের ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা অন্যদের মেসেঞ্জারে অশ্লীল ম্যাসেজ দেওয়া হচ্ছে। এভাবে ব্ল্যাকমেইল করে ভিকটিমদের অশ্লীল ছবি এবং নগ্ন ভিডিও দিয়ে কুপ্রস্তাবের মাধ্যমে মানসিকভাবে হেনস্তা করা হচ্ছিল। এসব অভিযোগে সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরির পাশাপাশি পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন পেইজেও অভিযোগ করা হয়।
এ বিষয়ে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সাইবার ইউনিটের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. লিয়াকত আলী খান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের সাইবার ইউনিটের একটি টিম অনুসন্ধান শুরু করে। একপর্যায়ে সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন সেলের প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়। আজ ভোরে নগরের ইপিজেড থানার নিউমুরিং তক্তারপুল এলাকা থেকে অভিযুক্ত আল মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৩টি মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।
উপপুলিশ কমিশনার আরও বলেন, আসামি জিজ্ঞাসাবাদে জানায়- গত ৭/৮ মাস ধরে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নারী ভিকটিমদের পরিচয় ও ছবি সংগ্রহ করেন তিনি। পরে তাদের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে ফেইক আইডি খুলে অশ্লীল ও আপত্তিকর ক্যাপশন দিয়ে ছবি পোস্ট করেন। এছাড়া ভিকটিমদের ব্যবহৃত ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জারে নগ্ন ছবি পাঠিয়ে ভিডিও কলে কথা বলতে বাধ্য করতে ম্যাসেজ পাঠানো হতো। দীর্ঘ সময়ে তার অপকর্মের কারণে অন্তত অর্ধশতাধিক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রী সামাজিকভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে জানায় গ্রেপ্তার আল মাসুম।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নগরের ইপিজেড থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।