কক্সবাজারের চকরিয়ায় টাকার লোভে ছাত্রীকে অপহরণ করেছে শিক্ষক! তবে অপহরণের একদিন পরই উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত ছাত্রী মিমকে। বিকাশে টাকা নেওয়ার সূত্র ধরেই এ অভিযান চালায় পুলিশ।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন চকরিয়া থানার এসআই জাকির হোসেন ও এএসআই জসিম উদ্দিন। বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে মিমকে উদ্ধার করার কথা আলোকিত চট্টগ্রামকে নিশ্চিত করেন চকরিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার।
উদ্ধার হওয়া শিশু মিম চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। সে চকরিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজবাগ এলাকার সাইফুল ইসলামের মেয়ে।
বুধবার রাতে মিমের বাবা সাইফুল ইসলাম চকরিয়া থানায় বলেন, সবুজবাগ এলাকায় বাসায় আমাকে মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতেন গৃহশিক্ষক। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে পরিবার সদস্যদের অগোচরে ওই শিক্ষক কৌশলে বাসা থেকে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে অপহরণকারী ওই শিক্ষক মুঠোফোনে আমার আমার কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি আমি চকরিয়া থানার ওসিকে জানাই। পরে একপর্যায়ে তাঁর দেওয়া একটি বিকাশ নাম্বারে কিছু টাকা পাঠাই। এরপর ওই বিকাশ মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালানো হয়। চকরিয়া থানা পুলিশের এসআই জাকির হোসেন এবং এএসআই জসিম উদ্দিনসহ পুলিশের একটি দল বুধবার বিকেলে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে। তবে ওইসময় অপহরণকারী পালিয়ে যায়।
যোগাযোগ করা হলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অপহরণকারীকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
আলোকিত চট্টগ্রাম
