কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল উদ্দিনকে ১০ মিনিটের মধ্যে কুপিয়ে খুন করা হয়। আর এ কিলিং মিশনে অংশ নেয় আজিজ সিকদারের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন।
বুধবার (৬ জুলাই) সকালে ফয়সাল হত্যার প্রধান আসামি আজিজ সিকদারের প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব-১৫ উপঅধিনায়ক মেজর মঞ্জুর মেহেদি।
র্যাব জানায়, কিলিং মিশনের শুরুতে হঠাৎ সামনে এসে ফয়সালের অটোরিকশা আটকানো হয়। এরপর তাকে কুপিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে খুন নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পুরো কিলিং মিশনের নেতৃত্বে ছিলেন আজিজ সিকদার। তার সঙ্গে আরও ১৫ থেকে ২০ জন এ খুনে অংশ নেয়।
এ ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে ফয়সাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি আজিজ সিকদার ও ফিরোজ আলমকে আটক করে র্যাব। তাদের আটকের বিষয়ে বুধবার সকালে ব্রিফিং করে র্যাব।
আটক আজিজ সিকদার খুরুশকুল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মৃত বাঁচা মিয়া সিকদারের ছেলে এবং ফিরোজ আলম একই এলাকার সিরাজুল হক সিকদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: যাত্রী সেজেও রনি-রানায় ধরা জসিম, সেন্টমার্টিনে আব্দুল্লাহ
মেজর মঞ্জুর মেহেদি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘবদ্ধভাবেই করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত হত্যার মূল উদ্দেশ্য জানা যায়নি। এই হত্যার সময় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো উদ্বারের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, আজিজ ও ফিরোজ প্রাথমিকভাবে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরো অনেকের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে জানতে পেরেছি। তাই এ বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আটক আসামিদের কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত রোববার কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন থেকে ফেরার পথে কুপিয়ে খুন করা হয় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল উদ্দিনকে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সদর মডেল থানায় নিহত ফয়সালের বড় ভাই নাছির উদ্দীন বাদী মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়।
এদিকে ঘটনার দিন অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করেছিল পুলিশ।