ছাত্রদল নেতা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা, চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন পটিয়ায়

শফিউল আলম বাদশা— ছিলেন ছাত্রদল নেতা, রাতারাতি বনে গেলেন আওয়ামী লীগ নেতা। আওয়ামী লীগ নেতা বনে গিয়ে তিনি এবার লড়ছেন খোদ আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে! ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পটিয়ার ধলঘাটে বাদশা প্রার্থী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ব্যানারে।

ধলঘাট আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার দাবি, এই ইউনিয়নে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুর্বল প্রার্থীর সুযোগ নিচ্ছেন বিএনপি মতাদর্শের বিশ্বাসী প্রার্থী বাদশা। আওয়ামী লীগের দলীয় গ্রুপিংকেও কাজে লাগিয়ে চেয়ারম্যানের তকমাও কাঁধে তুলতে চান শফিউল আলম বাদশা। তিনি অর্থশালী হওয়ায় গোপনে অনেক আওয়ামী লীগ নেতাও বাদশার হয়ে কাজ করছেন বলে দাবি তৃণমূল নেতাকর্মীদের।

২০১১ সালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন পটিয়া উপজেলার শফিউল আলম বাদশা। সেই কমিটির ৯ বছর পর তিনি বনে যান আওয়ামী লীগ নেতা। ২০২০ সালের অক্টোবরে গঠিত উপজেলা ধলঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটিতে কোষাধ্যক্ষের পদ পান বাদশা।

ধলঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য শফিউল আলম বাদশাসহ সাতজন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এরমধ্যে এবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় রনবীর ঘোষ টুটুনকে। যদিও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় রণবীর ঘোষ টুটুন গণসংযোগকালে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রার্থী বলে দাবি করছেন। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছে শফিউল আলম বাদশা। মূলত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইতে গিয়ে পূর্বে ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি সামনে আসে বলে জানান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতারা।

আরও পড়ুন : মোটরসাইকেল গতিরোধ—সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করলো ছাত্রদলকর্মীকে

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ২০১১ সালের দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির পদধারী এক নেতা আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, শফিউল আলম ২০১১ সালের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তবে ২০১৯ সালে দেওয়া কমিটিতে তার নাম ছিল না। শুনেছি তিনি এখন নিজ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ করেন। বর্তমানে তিনি ১০নং ধলঘাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার।

২০১১ সালে ছাত্রদলের কমিটিতে থাকলে ২০২০ সালে কীভাবে আওয়ামী লীগের কমিটিতে জায়গা পেলেন জানতে চাইলে শফিউল আলম বাদশা পরে কল দেওয়ার কথা বলে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিক বার ফোন/ম্যাসেজ দিলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

তবে ধলঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে সভাপতি শফিউল আলম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমি এসএসসির পর গ্রামে ছিলাম না। শহরে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। তাই গ্রামে ছাত্রাবস্থায় কে কোন দলের রাজনীতি করেছের জানি না।

শফিউল আলম বাদশা কবে থেকে আওয়ামী লীগ করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে ২০২০ সালের কমিটিতে তার নাম এসেছে, এর আগে তার নাম কোনো কমিটিতে ছিল না।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!