‘চোরের রাজা’—মাথা ন্যাড়া করেও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে পারল না ছোট মানিক

মাথা ন্যাড়া করেও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে পারল না ছোট মানিক (২৬)।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) রাতে নগরের বায়েজিদ এলাকার শহীদ পাড়া চার রাস্তার মাথা মো. হোসেনের কলোনি থেকে চোর চক্রের সদস্য এমরান হোসেন মানিক প্রকাশ ছোট মানিককে গ্রেফতার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। সে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার নতুন পাড়াস্থ বেতাগীর নুরুল আবছারের ছেলে।

গত ১৮ মে দিবাগত রাতে চোরের দল চান্দগাঁওয়ের খাজা রোডের নবী হোসেনের বাড়িতে একটি ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ২১ লাখ টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রবাসীর ভাই মোহাম্মদ হোসেন বাদি হয়ে গত ১৯ মে মামলা করেন চান্দগাঁও থানায়। মামলারটির তদন্তে নেমে পুলিশ চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানায়, চুরির পর গ্রেফতার এড়াতে মাথা ন্যাড়া করে ফেলে চোর। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চুরির টাকায় একটি বাজাজ পালসার মোটরসাইকেল কিনে মানিক। অপর এক চোর কিনে রঙিন টিভি। পুলিশ প্রথমে ৫ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেলসহ মানিককে গ্রেফতার করে। পরে তার তথ্য অনুসারে অন্যান্য জায়গায় অভিযান চালানো হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে চোর চক্রকে শনাক্ত করে গ্রেফতার অভিযানে নামে তদন্তকারী দল । কিন্তু চোর চক্র কৌশলি হওয়ায় তাদের গ্রেফতারে বেগ পেতে হয়।

মানিকের স্বীকারোক্তি অনুসারে পাঁচলাইশে তার বড় ভাই কামরুলের বাসায় অভিযান চালিয়ে দরজা ভাঙ্গার সরঞ্জাম, নগদ ২০ হাজার টাকা ও ৭৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সাথে কামরুল হাসানের স্ত্রী আরেফা বেগম সুমিকেও গ্রেফতার করা হয়।

নগরের ২ নম্বর গেট আলফালাহ গলি এলাকায় চোরদলের অপর সদস্য বড় মানিক এর ভাড়া বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে বড় মানিককে পাওয়া না গেলেও, উদ্ধার করা হয়েছে ১৭ হাজার টাকা ও চুরির টাকায় ক্রয় করা একটি এলইডি টেলিভিশন।

অন্যান্য চোরদের গ্রেফতার এবং চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ।

কামরুল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানা পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা দায়ের করেছে।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!