রাউজানের চেক প্রতারণার মামলায় আদালতের রায়ের পর এক ব্যক্তির ঘর ও জমি ক্রোক করা হয়েছে।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের বানু হাজী বাড়ির মফিজুল হকের ঘর ও জমি ক্রোক করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রী খীসা।
এ সময় ঘরের চারপাশে লাল পতাকা ও দরজায় সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়ে তালা লাগিয়ে পরিবারের সদস্যদের বাইরে বের করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে প্রতারণা’—অনুদানের নামে হাতিয়ে নিল ৪৩ হাজার টাকা
মামলার বাদী মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা দিদারুল আলম চৌধুরী বলেন, মোহাম্মদপুর বানুহাজীর বাড়ির মৃত হাজী রুহুল আমিনের ছেলে মফিজুল হকের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করি। ব্যবসারর জন্য মফিজুল হক আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঋণ নেন । পরে টাকা ফেরত না দেওয়ার কারণে ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম-১ যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করি ।
তিনি আরও বলেন, আদালত ২০১৯ সালে মামলার রায়ে আদালত মফিজুল হককে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডসহ ২০ লাখ টাকা ৬ মাসের মধ্যে ফেরতের নির্দেশ দেন । কিন্তু এরপরও তিনি আমার টাকা ফেরত দেননি। পরে আদালত মফিজুল হকের ঘর ও জমি ক্রোক করার আদেশ দেন ।
জানতে চাইলে ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রী খীসা আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আদালতের আদেশ মোতাবেক মফিজুল হকের ঘর ও জমি ক্রোক করা হয়েছে ।
শফি/আরবি