চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) ছাত্রলীগ পেল নতুন কমিটি। এতে সাগরময় আচার্য্য সভাপতি ও বিজয় হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত সংগঠনের প্যাডে এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
এতে জানানো হয়, আগামী এক বছরের জন্য এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নবনির্বাচিত সভাপতি সাগরময় আচার্য্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের স্মার্ট উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময় সঙ্গে ছিল, আজও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এই ধারা অব্যাহত রেখে চুয়েট ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতে ও আদর্শ ক্যাম্পাস গড়তে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমার ওপর আস্থা রাখায় তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার নেতা চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের প্রতি।
চুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে শুরুতে কী কাজ করতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে সাগরময় আচার্য্য বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ছাত্রলীগ সবসময় নেত্রীর সমর্থনে কাজ করেছে। চুয়েট ছাত্রলীগও তার ব্যতিক্রম নয়। শিক্ষার পরিবেশ বজায় রেখে আদর্শ ক্যাম্পাস গড়বো। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ছাত্রলীগের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো।
আরও পড়ুন : উত্তাল চুয়েটে ক্লাস—পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা, অধ্যাপকের পদত্যাগ ও দুবাস সার্ভিস নিষিদ্ধের দাবি
২৬ সদস্যের এ কিমিটিতে সহসভাপতি করা হয়েছে ১৮ জনকে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে আটজনকে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে আটজনকে।
১৮ সহ-সভাপতি হলেন— মো. ইমাম হোসেন নীরব, মো. রিফাত আরমান, নাহিদ সুলতান ইমরান, অরিজিত বসু, চিন্ময় কুমার দেবনাথ, মো. জাহিদুল ইসলাম, সাযীম হিমু চৌধুরী, শেখ মো. ফাহিম উদ্দিন, সাজিদ বিন আলম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ রনি, আদিব ইবনে মান্নান, মো. সাদিকুজ্জামান (সাদিক লতিফ), হুসাইন মেজবা, তোফাইয়া রাব্বি, মো. তানভীর জানি, সাদ বিন মোস্তফা, শাকিল ফরাজী ও ইফতেখার সাজিদ সম্রাট।
আট যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হলেন—রিফাত আহমেদ, তৌফিকুর রহমান, সৌমিক জয়, মঈনুল হক রাহাত, তালহা জুবায়ের, রাকিব উদ্দিন চৌধুরী, মাহামুদুল হাসান জাহিদ ও রিফাত হোসাইন।
আট সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন—আজহারুল ইসলাম মাহমুদ মুন্না, ইরফানুল করিম তোহা, রাফসান নাভীদ, আশিকুল ইসলাম তামিম, তাহসিন ইশতিয়াক ইফতি, আশিকুল ইসলাম, আব্দুর রহমান জিহাদ ও মো. মাহফুজ হোসেন।
এর আগে ২০১৮ সালে ৫ মে সৈয়দ ইমাম বাকেরকে সভাপতি ও শাখাওয়াত হোসাইন সম্রাটকে সাধারণ সম্পাদক করে দুসদস্যের কমিটি অনুমোদন দেয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস আর সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন। পরে ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ১৬১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন। সেই কমিটিকে চুয়েট শাখার প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমিটি হিসেবে দাবি করেন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। পরে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর জয়-লেখক কমিটি চুয়েট শাখা ছাত্রলীগের এ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।
আরএস/আরবি