আলেম মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান মওলানা আশরাফ আলী ফারুকী বলেছেন, চীনের সঙ্গে প্রীতি ও সম্পর্কের কারণে চীনে নির্যাতিত উইঘুর মুসলিমদের বিষয়ে কথা বলে না পাকিস্তান।
চীনের উইঘুরদের নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এ আয়োজন করে আলেম মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সংসদ।
তিনি বলেন, পাকিস্তান মুসলিম দেশ। বিশ্বের অন্যতম পারমাণবিক শক্তিধর মুসলিম দেশ। ফিলিস্তিনে মুসলিম নির্যাতন ইস্যুসহ বিশ্বের নির্যাতিত নিপীড়িত মুসলিমের বিষয়ে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যথেষ্ট সচেতন। কিন্তু চীনের উইঘুর মুসলমানদেরওপর সবচেয়ে বড় নিপীড়ন হয়, যা পৃথিবীর সব নির্যাতনকে হার মানায়। অথচ পাকিস্তান চীনের বন্ধু রাষ্ট্র হওয়ার পরও এই প্রসঙ্গে এখন পর্যন্ত দেশটি রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো প্রতিবাদ জানায়নি। এর কারণ পাকিস্তানের সাথে চীনের অঘোষিত প্রীতি-সম্পর্ক রয়েছে।
পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা চীনা রাষ্ট্রদূতকে এই বিষয়ে স্মারকলিপি দেব। দেশে জাতীসংঘের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেব। প্রেস ক্লাবে মানববন্ধন কর্মসূচি দেব।
আলোচনা সভায় সংগঠনটির চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মুফতি ওসমান গনি চৌধুরীর বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় চীনারা পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করেছিল। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এদেশের মুক্তিকামী জনতা তাদের সহযোগিতা পায়নি। মিয়ানমারে বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বন্ধে চায়নাদের পরোক্ষ যোগসাজশ রয়েছে। যেজন্য রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া থেমে আছে।
চীনা সরকার মানবাধিকার কর্মী, সংবাদকর্মী, জাতিসংঘের কর্মকর্তা এমনকি সংবাদ সংগ্রহে আগ্রহী এমন কাউকে চীনের উইঘুরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, পুরো পৃথিবীকে অন্ধকারে রেখে চীনা সরকার এসব অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিবিসি, আল-জাজিরা বিভিন্ন উপায়ে চেষ্টা করে কিছু কিছু সংবাদ সংগ্রহ করে প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে। যা দেখে আমরা হতবাক হয়েছি। পুরো বিশ্বের মানুষ এটা মেনে নিতে পারেনি। আমরা চীনা সরকারের এ ধরনের গর্হিত অপরাধ কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংগঠনটির চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মুফতি ওসমান গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি চিটাগংয়ের (ইউসিটিসি) অধ্যাপক ড. বেলান নুর আজিজী, দৈনিক যুগান্তরের সহসম্পাদক মুফতি তানজিল আমীর, কেন্দ্রীয় মহাসচিব ইয়াসীন হাবিব, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা আব্দুল জাব্বার ও মাওলানা শামসুল আলম।
আরএস/এসআই