চট্টগ্রামে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় আদালতের সম্মেলন কক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নার্গিস আক্তার, অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মু. আবদুল হালিম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মনীষা মহাজনসহ চট্টগ্রাম সিএমএম কোর্টে কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেটরা।
আরও পড়ুন: গুরুতর অপরাধ না হলে প্রবেশন আইন অনুসরণের নির্দেশ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু মোহাম্মদ হাশেম, সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়া উদ্দিন, অতিরিক্ত মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর উত্তম কুমার দত্ত, প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, ডিসি (দক্ষিণ) মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং এডিসি (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসানসহ নগরের সব থানার ওসি।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার তানভীর ফরহাদ। এতে পিবিআই, সিআইডি, ডিবি, ট্যুরিস্ট পুলিশ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, কারা প্রশাসন, নির্বাচন অফিস, পাসপোর্ট অফিস, স্বাস্থ্য ও ফরেনসিক মেডিসিন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কনফারেন্সের শুরুতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম বিগত সভার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরার পাশাপাশি বিচারকাজ ও মামলা নিষ্পত্তিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা এবং কার্যকর সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এছাড়া বিচারাধীন মামলাসমূহের সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাই বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। তিনি এনআইডি, পাসপোর্ট ও জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত এভিডেভিট বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা মামলা তদন্তে ও ফরেনসিক বিভাগে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া ফৌজদারি কার্যবিধির ৯৮, ১৪৫, ১৬৪ ধারা এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারার প্রয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন। গত ৯ মাসে ২৫ হাজার ২৪৯টি মামলা নিষ্পত্তি করায় সিএমএম কোর্টের ৮ ম্যাজিস্ট্রেটকে অভিনন্দন জানান তিনি।