চিকিৎসক অপরহণ—মামলা খেলেন রাউজান থানার সাবেক ওসি প্রদীপসহ ৬ জন

চট্টগ্রামের রাউজানে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে এক চিকিৎসককে অপহরণের অভিযোগে সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুন চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলমের আবেদন গ্রহণ করে রাউজান থানার পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- রাউজান থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাস, এসআই শাফায়েত হোসেন ও এসআই টোটন মজুমদার, পাইওনিয়ার হসপিটালের চেয়ারম্যান ডা. ফজল করিম প্রকাশ বাবুল, পরিচালক মনজুর হোসেন ও সুপারভাইজার মো. জাহাঙ্গীর আলম।

বাদীর আইনজীবী নাজমুল হাসান সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন : ব্যাংকের সঙ্গে প্রতারণা করে মামলার জালে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল নোয়াপাড়া পথেরহাট এলাকার চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলমকে সাদাপোশাকে অপহরণ করে এসআই টোটন মজুমদার। এর আগে চিকিৎসকের কাছে টোটন মজুমদার ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। না দিলে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দেন। চিকিৎসকের অপরাধ তিনি বিএনপি করতেন। সাদাপোশাকে চিকিৎসক জাহাঙ্গীরকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে মারধর করা হয় বলে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়।

এদিকে অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্যের তিনজনের মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে রাউজান থানার সাবেক উপপরিদর্শক টোটন মজুমদারের বলেন, চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মামলা করেছিল। ওই মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন তৎক্ষালীন উপপরিদর্শক সাফায়েত হোসেন। আমি তখন নোয়াপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলাম। আসামি ধরতে সহযোগিতা করেছিলাম। আমি মামলার বাদিও না, আইও না। ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

এর আগে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরু হত্যার অভিযোগে রাউজান থানার সাবেক উপপরিদর্শক শেখ জাবেদ মিয়ারসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন নুরুল আলম নুরুর স্ত্রী সুমি আক্তার।

এসএ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm