রুবেল বেপারী (৩৭) চালক, মিরাজুল ইসলাম (৪২) তার সহকারী (হেলপার)। চালক আর সহকারীর আড়ালে মূলত তারা পাচার করে মাদক। দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকের বড় চালান নিয়ে তারা পৌঁছে দেয় বিক্রেতাদের কাছে।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি ওই দুই মাদক কারবারির। সোমবার (১৩ অক্টোবর) ভোরে বড়তাকিয়া এলাকায় মহাসড়কে ১০ হাজার ইয়াবাসহ তারা ধরা পড়ে মিরসরাই থানা পুলিশের জালে।
রুবেল বেপারী ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার চন্দীপুর এলাকার বকু বেপারীর ছেলে এবং মিরাজুল ইসলাম ঢাকার মুগদা থানাধীন মান্ডা এলাকার আবু বকর মোল্লার ছেলে৷ রুবেল রিল্যাক্স কুং এসি এয়ারকন নামে একটি যাত্রীবাহী বাসের চালক, মিরাজ সহকারী।
মিরসরাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বড়তাকিয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় চেকপোস্টের দিকে আসা রিল্যাক্স কুং এসি এয়ারকন (ঢাকা মেট্রো-ব-১২-২৫৩৩) যাত্রীবাহী বাসটি সংকেত দিয়ে থামানো হয়। বাসটি তল্লাশি করে ড্রাইভারের সিটের পাশে বক্সের ভেতরে লুকিয়ে রাখা দুইটি প্যাকেট থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
মিরসরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, রিল্যাক্স কুং এসি এয়ারকন নামে একটি বাসের চালক রুবেল বেপারী ও সহকারী মিরাজুল ইসলামকে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা ইয়াবার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩০ লাখ টাকা। মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চালক রুবেল ও সহকারী মিরাজ দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি চালানোর আড়ালে অতিরিক্ত টাকার আশায় মাদক ব্যবসা করে আসছিল। ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে৷
এদিকে বারইয়ারহাট পৌর এলাকায় আরেক অভিযানে ৪৩ পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারিকে আটক করে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। তারা হলো— এনামুল হক রানা (২৪), মো. সোহেল (৪০) ও মো. আল আমিন (২০)। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে৷
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জোরারগঞ্জ থানার ওসি এম আবদুল হালিম।
এএ/আলোকিত চট্টগ্রাম

