কক্সবাজারের চকরিয়ায় চাচাকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তিন ভাতিজাকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এক আসামিকে দিয়েছেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। রোববার (৬ মার্চ) চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোজাম্মেল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
চকরিয়ায় বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হুদা হত্যা মামলায় এ রায় দেন আদালত। এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবু বকর ছিদ্দিক। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন। এছাড়া রায়ে এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
২০১৬ সালের ৩০ জুন রাতে নুরুল হুদা বদরখালী বাজারের ফেরিঘাটে একটি চায়ের দোকানে টিভিতে সংবাদ প্রচারের সময় রাজাকারদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন। আসামিরা তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে নুরুল হুদাকে তুলে নেয় গিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: চকরিয়ায় দুদিনে ২ গৃহবধূর লাশ, হত্যা—আত্মহত্যায় ধুম্রজাল
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আবু বকর ছিদ্দিক, ইউনুস হোসাইন মানিক, ইব্রাহিম মোস্তফা কাইয়ুম। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম সোহায়েত। খালাস পেয়েছেন শেফায়েত নামের অপর এক আসামি।
নিহত নুরুল হুদা বদরখালী ইউনিয়নের তিন নম্বর ব্লকের মগনামাপাড়ার মৃত আবুল আহমদের ছেলে। তিনি ওই এলাকার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আবু বকর ছিদ্দিক, ইউনুস হোসাইন মানিক ও ইব্রাহিম মোস্তফা কাইয়ুম তার ভাতিজা। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া সোহায়েত নুরুল হুদার নিকটাত্মীয়।
এর আগে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে শাহজাহান বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এছাড়া অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয় ১৮ জনকে। মামলাটির বিচারিক প্রক্রিয়ায় ১৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এর মধ্যে আদালত ১২ জনের সাক্ষী বিবেচনায় নেন।
এসি