চাকরি খোয়ানোর পর হারালেন স্বামীকে, অবশেষে আলোর দেখা পেলেন জয়া

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এক মানবিক উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে পটিয়াজুড়ে।

ইসলামী ব্যাংক থেকে সম্প্রতি চাকরি খোয়ান অপর্না দত্ত জয়া। স্ত্রী চাকরি হারানোর পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান স্বামী। এ অবস্থায় দুই স্কুলপড়ুয়া সন্তান নিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েন জয়া।

তবে জয়ার এ অন্ধকারে আলো নিয়ে এসেছেন তারেক রহমান। তাঁর স্কুলপড়ুয়া সন্তানদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। আগামী এক বছরের জন্য তিনি দিয়েছেন ৭২ হাজার টাকার চেক।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে পটিয়া পৌর সদরে অপর্না দত্ত জয়ার বাসায় গিয়ে এই চেক তুলে দেন পটিয়া পৌরসভা যুবদল ও জেড ফোর্সের নেতারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জসিম উদ্দীন মল্ল, মামুনুর রশিদ, ইনজিহারুল সবুজ, সাইফুল ইসলাম, মো. সোহেল, নুরুল হাকিম, জমির উদ্দীন আজাদ, বোরহান উদ্দীন, আলমগীর বাবু, টিঙ্কু, নাইমুল ইসলাম, লোকমান হোসেন, লোকমান পাপ্পু, আবু মুছা, জিয়া উদ্দীন নোমান, আবসার, মো. তারেক, কাজী রিয়াদ, মো. জিয়া, ইব্রাহিম মির্জা, পাপেল, শহীদুল ইসলাম, মো. সুমন, আসিফ, ইকবাল বাহার আশেক, জাহেদ মুজাহিদ, আলী হোসেন, তোহিদুল ইসলাম, বাবলু ও নয়ন।

এদিকে এটি শুধু একটি সাহায্য নয়, বরং রাজনৈতিক দলের সামাজিক দায়বদ্ধতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন এলাকার সচেতন মহল। স্থানীয় কয়েকজন এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, বর্তমান কঠিন সময়ে এমন মানবিক সহায়তা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। রাজনৈতিক দলগুলো যদি এভাবে সামাজিক কাজে যুক্ত হয়, তাহলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। বিএনপির এই উদ্যোগ অন্যান্য দলকেও অনুপ্রাণিত করবে।

পটিয়া পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক আবছার উদ্দিন সোহেল আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান সবসময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। অপর্না দত্ত জয়ার মতো ব্যক্তিদের সাহায্য করে আমরা বিএনপির মানবিক মূল্যবোধকে তুলে ধরছি। এই সাহায্য তাদের মনোবল বাড়াবে এবং সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা দেবে।

চেক পেয়ে আবেগাপ্লুত জয়া বলেন, চাকরি—স্বামী সবকিছু হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু তারেক রহমানের এই সাহায্য আমার সন্তানদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করেছে। আমি চিরকৃতজ্ঞ। এটি আমাদের জীবনে এক নতুন অধ্যায় শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, স্বামীহারা অপর্না দত্ত জয়ার বড় ছেলে অনুরাগ দাশ পটিয়া আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র এবং ছোট ছেলে অন্বেষণ দাশ দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm