চাকরির লোভে পতিতার বাজারে বেচাকেনা, ৯৯৯ কলে বাঁচল ২ তরুণী

বিভিন্ন জায়গা থেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের নিয়ে আসতেন তানজিল ও এমরান হোসেন। আর তাদের ভাড়া বাসায় আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করতেন প্রতারণাচক্রের মূলহোতা সুরমা বেগম ওরফে সুমি (৩৫)।

৯৯৯-এ কল পেয়ে শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাতে বায়েজিদ রৌফাবাদ সোহাগ কলোনির ভাড়া বাসা থেকে সুরমা বেগম ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় ওই বাসা থেকে দুই নারীকে উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন- কুমিল্লা জেলার লাকসাম নারায়ণপুর এলাকার মৃত মো. মুসলিম উদ্দিনের মেয়ে সুরমা বেগম ওরফে সুমি (৩৫), নোয়াখালী জেলার চরফকিরহাট এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে তানজিল হোসেন (২২) এবং নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ চরকালা এলাকার মো. হেলালের ছেলে এমরান হোসেন (২১)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্বামী অসুস্থ। সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চলতি মাসের ৭ তারিখ চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমের শ্বশুর বাড়ি থেকে এক নারীকে নিয়ে আসেন তানজিল ও এমরান। এনে বায়েজিদ রৌফাবাদ সোহাগ কলোনির ভাড়া বাসায় রাখেন। পরে ওই নারীকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেন সুরমা বেগম। অভিন্ন প্রলোভনে চলতি মাসের ২২ তারিখ আরেক নারীকে নিয়ে এসে একই কাজে বাধ্য করে পতিতাবৃত্তি চালিয়ে আসছিল।

এ বিষয়ে বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাসায় আটকে রেখে দুই নারীকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়। রাজি না হলে তাদের ওপর চালানো হতো নির্যাতন। শুক্রবার রাতে ভিকটিম কৌশলে তাদের মোবাইল থেকে ৯৯৯-এ ফোন দেয়। খবর পেয়ে বাসা থেকে দুই নারীকে উদ্ধার করি। এ সময় মূলহোতা সুরমা বেগমসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

এএইচ/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!