বিভিন্ন জায়গা থেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের নিয়ে আসতেন স্বামী। আর তাদের ভাড়া বাসায় আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করতেন শাহনাজ বেগম (৩০)।
৯৯৯- এ কল পেয়ে রোববার (১১ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সরাইপাড়া বাঁচা মিয়া রোড়ে একটি বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলা থেকে শাহনাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভুজপুর হেয়াকোবাজার মোহাম্মদপুরের মো. জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী তিনি।
এ সময় তার বাসা থেকে ৩ নারীকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নারীদের বাসায় নিয়ে আসতেন। তারপর স্বামী-স্ত্রী দু’জন মিলে তাদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করতেন। না করলে চলতো নির্যাতন। এভাবে ৩ নারীকে তিন মাস আটকে রেখে চালিয়ে আসছিল পতিতাবৃত্তি। মানুষ যাতে বুঝতে না পারে সেজন্য কিছুদিন পরপর বাসা পরিবর্তন করতো তারা। মূলত বাড়ির মালিক ও কেয়ারটেকারের সঙ্গে সুসস্পর্ক তৈরি করে এ অনৈতিক কাজ করে আসছিল তারা।
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাসায় আটকে রেখে গত তিন মাস ধরে ৩ নারীকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়। রাজি না হলে তাদের ওপর চালানো হতো নির্যাতন। রোববার ওই বাসায় চিৎকার শুনে এক প্রতিবেশী ৯৯৯-এ ফোন দেয়। খবর পেয়ে বাসা থেকে ৩ নারীকে উদ্ধার করি। এ সময় শাহনাজ বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তার স্বামী কৌশলে পালিয়ে যায়।
তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
এএইচ/ডিসি