চমেক হাসপাতালের ১১৪ ডাক্তার বদলি করোনা চিকিৎসায় সংকট বাড়াবে

কঠোর লকডাউন চলাকালীন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ১১৪ চিকিৎসককে বদলির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নগর ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ।

চট্টগ্রামের ৫ কোটি মানুষের সেবা প্রদানের একটি জরুরি প্রতিষ্ঠান চমেক। তাই রিপ্লেসমেন্ট ছাড়া হঠাৎ এমন বদলির হঠকারী সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন ক্যাব নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান প্রমুখ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদান করছেন চিকিৎসক এবং তাদের সঙ্গে জড়িত নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, টেকনেশিয়ানসহ অন্যরা। যেহেতু লকডাউন চলমান, সাধারণ জনগণের চলাচল নিয়ন্ত্রিত আর এই সময়ে বদলিকৃত চিকিৎসকদের স্থানান্তর ও যোগদান স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কঠিন হবে। আর এই সময়ে চিকিৎসকদের সেবাগ্রহীতা সাধারণ ও কোভিড রোগীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে বিড়ম্বনার শিকার হবে। এছাড়া বদলিকৃতদের রিপ্লেসমেন্ট দেয়া হয়নি। আর দেওয়া হলেও নতুনদের দায়িত্বগ্রহণ করে চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখা অনেক স্থানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, চিকিৎসকদের বদলি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নানা অনিয়মের খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। জনগণের স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিতে চিকিৎসাসেবার সাথে জড়িত চিকিৎসকদের বদলির মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে শৃঙ্খলা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব না।

একযোগে দেশব্যাপী চিকিৎসকদের বদলির এখন উপযুক্ত সময় নয় বলে মন্তব্য করে করোনা মহামারীর প্রকোপ কমলে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান ক্যাব নেতৃবৃন্দ।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!