চবির আবাসিক হলে অস্ত্র—পেট্রোল বোমা, পরিস্থিতি থমথমে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে থাকা দুই আবাসিক হল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর মধ্যরাতে পুলিশ এ অভিযান চালায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম জানান, পুলিশ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী আবাসিক হলে অভিযান চালায়। হল দুটি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেন পুলিশ সদস্যরা। এছাড়া পেট্রোল বোমা, ককটেলসহ নানা সরঞ্জামও পাওয়া যায় হলে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুষে মিলবে ‘নিয়োগ’, শিক্ষক পদে ১৬ লাখ—মালি ৮ লাখ

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকাল থেকে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বুধবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রুপককে শাটল ট্রেনভিত্তিক সংগঠন সিএফসি গ্রুপের সদস্যেরা মারধর করেন। এর প্রতিবাদে ছাত্রলীগের অপর অংশ বিজয় গ্রুপের কর্মীরা জড়ো হয়ে সিএফসি গ্রুপের কর্মীদের ধাওয়া করে।

এরপর দফায় দফায় চলতে থাকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসন মিলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এরপর রাত ৯টার দিকে ক্যাম্পাসে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ফের বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন ছাত্রলীগের দুপক্ষের কর্মীরা।

ককটেল বিস্ফোরণের পর ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রাতে শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী আবাসিক হলে অভিযান চলে। অভিযানে হল দুটি থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।

এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!