চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের বঞ্চিতদের অবরোধ স্থগিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা চলছে। শিক্ষার্থীদের শাটল ট্রেনের পাশাপাশি চলেছে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে৷ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে অবরোধ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে সোমবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ শুরু করে চবি ছাত্রলীগের বঞ্চিতরা। বঞ্চিত নেতা-কর্মীরা আটকে দেয় শাটল ট্রেন, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাস। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে চবি। হঠাৎ অবরোধে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। স্থগিত করা হয় আট বিভাগের ১০টি পরীক্ষা।
জানা যায়, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রথমে পরিবহন পুলের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন একাংশের নেতা কর্মীরা । কয়েকটি বাসের চাবিও নিয়ে যান তারা। তারপর সকাল সাতটার দিকে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে তালা দেওয়া হয়। একই সময়ে ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে নগরের ষোলোশহর ও ঝাউতলায় অবস্থানরত দুটি শাটল ট্রেনও আটকে দেন বঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। ওই ট্রেনে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ছিলেন।
এরপর সকাল ৯টার দিকে ক্যাম্পাসে টায়ার জ্বালিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করা হয়। স্লোগান দেন। তবে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়ার অনুরোধে মূল ফটকের তালা খুলে দেওয়া হয়।
এদিকে সোমবার অন্তত ১৪টি বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের ১৬ চূড়ান্ত পরীক্ষা ছিল। পরে শতভাগ শিক্ষার্থী উপস্থিত হওয়ায় ছয়টি বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর স্থগিত করা হয় আট বিভাগের ১০ পরীক্ষা।
অবরোধ স্থগিতের বিষয়ে বঞ্চিতরা বলেন, আমাদের নেতা সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন৷ তিনি ( নাছির) বিবাহিত ও চাকরিজীবীদের বাদ দেওয়া, কমিটি বর্ধিত করা ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন- এই তিন দাবির বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আর ভোগান্তি না হওয়ার জন্য অবরোধ স্থগিত করা হয়েছে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।