চট্টগ্রাম আদালতে ৩৪৬ জনের ‘বড়’ নিয়োগ, পুরনো পদে নতুন মুখ

চট্টগ্রাম আদালতে ৩৪৬ জন সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। যার মধ্যে রয়েছে সরকারি আইন কর্মকর্তা (জিপি), অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি, সহকারী সরকারি কৌঁসুলি, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর, বিশেষ প্রসিকিউটর ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর।

আশরাফ হোসেন চৌধুরীকে চট্টগ্রাম জেলা পিপি এবং মফিজুল হক ভূঁইয়াকে মহানগর পিপি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর উইং থেকে এ নিয়োগ আদেশে জারি করা হয়।

উপসলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত নিয়োগ আদেশে জানানো হয়, চট্টগ্রাম জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং এদের অধীন আদালতগুলো, বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত এবং বিভিন্ন পর্যায়ের ট্রাইব্যুনালে পূর্বে নিয়োগকৃত সকল আইন কর্মকর্তার নিয়োগাদেশ বাতিলক্রমে তাদেরকে স্ব স্ব পদের দায়িত্ব হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নতুন নিয়োগ আদেশের ছকে বর্ণিত আইনজীবীদেরকে তাদের পেশাগত দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সততা সম্পর্কে স্ব-স্ব জেলার জেলা ও দায়রা জজ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ৪৯২ ধারা এবং দ্য লিগ্যাল রিমেমব্রেন্সার্স ম্যানুয়াল ১৯৬০ এর ২ নং অধ্যায়ের ১নং অনুচ্ছেদের বিধি ৯ ও ৬ নং অনুচ্ছেদের বিধি ১৭ এর বিধান মতে তাদের নামের বিপরীতে উল্লেখকৃত পদে সাময়িকভাবে নিয়োগ দেওয়া হলো।

আরও পড়ুন : ‘সুখবর’ চট্টগ্রাম আদালতের কার্যক্রম পুরোদমে চালুর ইঙ্গিত আইনজীবী সমিতির

আদেশে জেলা পিপি পদে কাশেম চৌধুরী এবং অতিরিক্ত সরকারি পিপি হিসেবে ২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সহকারী পিপি হিসেবে রয়েছেন ৪৫ জন।

এদিকে দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পিপি এসইউ নুরুল ইসলাম, সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পিপি হিসেবে আবদুস সাত্তার সরোয়ার, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি এস ই ইউ এম নুরুল ইসলাম, সাইবার ট্রাইব্যুনালে সেলিম উদ্দিন শাহীন এবং মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে বিশেষ প্রসিকিউটর হিসেবে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা পিপি হিসেবে ৫৯ জন এবং সহকারী জেলা পিপি হিসেবে ৮৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত মহানগর পিপি হিসেবে ৪৭ জন ও সহকারী মহানগর পিপি হিসেবে ৬০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে আহম্মেদ কামরুল ইসলাম চৌধুরীকে পিপি, আফাজুর রহমান ও সৈয়দ আবুল কাশেকে অতিরিক্ত পিপি এবং রেজওয়ান নূর সিদ্দিকীকে সহকারী পিপি করা হয়েছে।

এদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি আলমগীর মো. ইউনুচ ও অতিরিক্ত পিপি রফিক আহমদ। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পিপি মাহমুদ-উল আলম চৌধুরী (মারুফ) ও অতিরিক্ত পিপি সাইফুল আবেদিন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর পিপি এরফানুর রহমান ও অতিরিক্ত পিপি শামিম মো. খান। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর পিপি আ ন ম কামরুল হাসান চৌধুরী ও অতিরিক্ত পিপি ফৌজুল আমিন চৌধুরী। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর পিপি হায়দার মো. সোলায়মান ও অতিরিক্ত পিপি আকবর আলী। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর পিপি রওশন আরা বেগম ও অতিরিক্ত পিপি এরশাদুর রহমান রিটু। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর পিপি শফিউল মোরশেদ চৌধুরী ও অতিরিক্ত পিপি জেবুন নাহার।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm