চট্টগ্রামে হঠাৎ বেড়েছে করোনা। শনাক্ত পৌঁছেছে দুই অঙ্কের ঘরে। এছাড়া শনাক্তের হারও গত দুদিনের তুলনায় সামান্য বেড়েছে।
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পাল্টে গেছে উপজেলার সুখবরের চিত্র। তবে কোথাও নেই কোনো আহাজারি।
এদিকে ৭ ল্যাবে ২৭৯ নমুনায় পরীক্ষায় শনাক্ত শূন্য এবং ১৩ উপজেলায়ও অভিন্ন চিত্র।
গত ২৪ ঘণ্টায় নগরে ৭ জন ও উপজেলায় ৩ জনসহ একদিনে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১০ জন। তবে এদিন করোনা আক্রান্ত কেউ মারা যাননি। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনায় হঠাৎ ‘উল্টো’ চিত্র
এর আগে শনিবার ৫৩৭ নমুনা পরীক্ষা শনাক্ত হয়েছিল ৩ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ০ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
শুক্রবার ৭১৫ নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিল ৭ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ০ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
রোববার (১৩ মার্চ) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ল্যাবে ৫৪৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ৩০ নমুনায় ৫ জন, শেভরনে ১৫২ নমুনায় ১ জন, আরটিআরএলে ১ নমুনায় ১ জন, ইপিক হেলথ কেয়ারে ৩০ নমুনায় ১ জন, ল্যাবএইডে ১ নমুনায় ১ জন এভারকেয়ার হাসপাতালে ৫০ নমুনায় ১ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সুনামি গতির করোনা হঠাৎ দুর্বল
এছাড়া এদিন ১ এন্টিজেন পরীক্ষায় শনাক্ত ছিল না।
এদিকে বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এদিন করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫২, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৫৫, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৪৩, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৩৫ ও এশিয়ান স্পেশালাইড হাসপাতালে ৮১ নমুনা পরীক্ষায় কারো করোনা শনাক্ত হয়নি।
উপজেলার মধ্যে সাতকানিয়ায় ২ জন ও বোয়ালখালীতে ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
তবে মিরসরাই, হাটহাজারীতে, ফটিকছড়ি, পটিয়া, লোহাগাড়া, আনোয়ারা, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ড, চন্দনাইশ, কর্ণফুলী, বাঁশখালী, রাউজান ও সন্দ্বীপ উপজেলায় এদিন কোনো করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।
নগরে ৯২ হাজার ৬৭ জন এবং উপজেলায় ৩৪ হাজার ৫২৭ জনসহ চট্টগ্রামে মোট শনাক্ত ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৯৪ জন। মোট মৃত্যু ১ হাজার ৩৬০। যার ৭৩৪ জন নগর এবং ৬২৬ জন উপজেলার বাসিন্দা।
আরবি