স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন জ্যোতি চৌধুরী (২৫) নামে এক গৃহবধূ। তিনি লোহাগাড়া কলাউজান চৌধুরী বাড়ির বাসিন্দা ও একই এলাকার মনোজিৎ সরকারের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আট বছর আগে জ্যোতির সঙ্গে একই এলাকার প্রবীর চৌধুরীর বিয়ে হয়। স্বামী প্রবীর চৌধুরী হাজারী গলির স্বপ্না ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী। তাদের শ্রীকান্ত চৌধুরী রিক নামে ছয় বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
জ্যোতির স্বামীর সঙ্গে রাত্তারপুল মাস্টার লেন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। প্রবীর চৌধুরী ব্যবসায়িক কাজে সারাদিন শহরের থাকায় শাশুড়ি ও জ্যোতি বাসায় থাকতেন। তাদের দুজনের মধ্যে সাংসারিক কাজ নিয়ে প্রায়সময় ঝগড়া হতো। এ নিয়ে প্রবীর চৌধুরী মায়ের সঙ্গে সুর মেলালে জ্যোতির মনে ক্ষোভ জমতে থাকে।
এদিকে জ্যোতির পারিবারিক অবস্থা তেমন ভালো না হওয়ায় সেখানে যাওয়ারও সুযোগ ছিল না। ফলে রোববার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেন জ্যোতি। খবর পেয়ে চান্দগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে লাশ মর্গে রয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে জ্যোতির বাবা মনোজিৎ সরকার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমি গরিব মানুষ। আমার একটি ছোট নাতি রয়েছে। কিন্তু মেয়ের জামাই ও শ্বাশুড়ি শিশুটির দিকে তাকিয়েও আমার মেয়েকে রেহাই দেয়নি। দিনের পর দিন নির্যাতন করে আত্মহননের পথে ঠেলে দিয়েছে। আমি শিগগির মামলা করব। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।