নগরে ‘সেভেন ডেইজ’ নামে একটি রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে মানহীন ও পচা খাবার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেক গ্রাহক এ অভিযোগ করেন।
মূলত আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনের আড়ালে মানহীন খাবার বিক্রি করে রেস্টুরেন্টটি গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করছেন বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। তারা বলছেন, রেস্টুরেন্টের খাবারের মান মাসখানেক আগেও ভালো ছিল। কিন্তু হঠাৎ বাণিজ্যিক এই রেস্টুরেন্টটি মানহীন খাবার বিক্রির উৎসবে নেমেছে।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘ফুড গাইড ডিভিশন’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে রেস্টুরেন্টের খাবারের বাজে মান নিয়ে পোস্ট করেন এক ফুড ব্লগার। এরপরই পোস্টের নিচে একই অভিযোগে অনেককেই মন্তব্য করতে দেখা যায়।
আসাদুজ্জামান সংগ্রাম নামে একজন লেখেন, সেভেন ডেইজ রেস্টুরেন্টের ওরশ বিরিয়ানি দুইবার আনছি। দুইবারই বাজে লাগছে খুব। এক প্যাকেট খেতে এখন কষ্ট হয়। আগে এক প্যাকেটের বেশি খেতাম। তার উপর আলু দিয়ে ভরাই রাখে। মাংস দেয় ৩-৪ পিস। খুব বাজে অবস্থা।
দেবব্রত লেখেন, সেই স্বাদ আর নেই। অতিমাত্রায় বাণিজ্যিকতা একটা প্রতিষ্ঠানের সুনাম কিভাবে নষ্ট করে তার প্রমাণ হলো এই সেভেন ডেইজ।
মিথিলা দাশ লেখেন, সেদিন ১১ প্যাকেট বিরিয়ানি নিয়ে খুবই হতাশ ছিলাম। অফিসিয়াল লাঞ্চের জন্য নিয়েছিলাম। কলিগদের কাছে এত সুনাম করেছিলাম তারাও খুবই এক্সাইটেড ছিল। বাট খাওয়ার পর সো ডিসাপয়েন্টেড।
সায়েদা সোনিয়া লেখেন, কিছুদিন আগে এখানের বিয়িয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।
মোহাম্মদ সাজিদ লেখেন, বাজে মানে, চরম বাজে। কাচ্চির মাটনে কোনো স্বাদ নাই। ভাতগুলো শক্ত, গিলতে কষ্ট হয়। ২ জনের জন্য সালাদ দিলো, যেন মনে হলো বিরক্ত হয়ে দিয়েছে ৩-৪ পিছ। চিকেন দম বিরিয়ানি বাসমতির জায়গায় দিলো চিনিগুড়া চাল।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নগরের ২নং গেট সেভেন ডেইজ রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জাহিদ চৌধুরী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমাদের এখানে যারা খেতে আসে তারা এ ধরনের কোনো প্রশ্ন আমাদের করে না। আর যদি কোনো কাস্টমার সমস্যার কথা বলে তাহলে আমরা সাথে সাথে চেঞ্জ করে দিই। খাবারের মান নিয়ে যখন কেউ কিছু বলে, তখন আমরা বলি কাস্টমার রিভিউ তো লাগবেই। আর কোনো সমস্যা হলে আমরা সমাধানের চেষ্টা করি।
যোগাযোগ করা হলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আনিছুর রহমান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। তবে যেহেতু জানিয়েছেন আমরা এ বিষয়ে নজর দেব। কোনো ভোক্তা আমাদের সরাসরি অভিযোগ করলে তো অবশ্যই আমরা অভিযান চালিয়ে থাকি। দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ার কারণে মূলত সব জায়গায় এরকম অবস্থা তৈরি হয়েছে৷ মান কমে যাচ্ছে খাবারের, ভেজাল বেড়ে যাচ্ছে। তারপরও আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছি, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।