চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর ‘কড়া’ নজর সিটি গেইটেই

সকাল ৮টা। নগরের সিটি গেইট এলাকা প্রায় ফাঁকা। ব্যস্ততম এই সড়কটিতে নেই তেমন যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল। চলছে হাতেগোনা রিকশা।

সকাল থেকে সড়কের দু’পাশে অবস্থান নিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। রেখেছেন কঠোর নজরদারি।

সিটি গেইট হয়ে নগরে ঢুকা ও বের হওয়া সব পণ্যবাহী যানবাহনের কাগজপত্র যাছাই-বাছাই চলছে। রিকশা যাত্রীদেরও বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করছেন।

এদের মধ্যে উপযুক্ত কারণ দেখাতে ব্যর্থদের সতর্ক করে ফেরত পাঠানো হয় বাসায়।

সকাল ৯টা। সিটি গেইটের সামনে আসা মানুষভর্তি একটি লেগুনা গাড়িকে থামায় সেনাবাহিনী।

সিটি গেইটের সামনে আসা মানুষভর্তি একটি গাড়িকে আটক করা হয়।

গাড়িটির সামনে লেখা ছিল ‘আমদানিকৃত খাদ্যদ্রব্য’ আনলোড ও ডেলিভারি নিয়োজিত শ্রমিকবৃন্দ। তবে ব্যানারের লেখার সাথে উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে না পারায় গাড়িতে থাকা সবাইকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে গাড়িটি খালি চলে যায়।

এদিকে সকাল ১০টায় বিআরটিএ সড়কে দেখা গেছে পুলিশের কড়া তল্লাশি ও নজরদারি।

তবে বিপরীত চিত্র দেখা গেল নগরের ব্যস্ততম টাইগারপাস ও লালখান মোড়ে । সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এখানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কোনো সদস্যদের দেখা যায়নি।

একই চিত্র দেখা গেল নগরের অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা চকবাজার, গুলজার মোড় ও জামালখান মোড়ে। এসব সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি।

তবে ওয়াসা মোড়, কাজির দেউড়ি মোড়ে পুলিশের তৎপরতা কিছুটা চোখে পড়েছে।

অন্যদিকে সকাল ১১ টায় শাহ আমানত সেতু এলাকায় পুলিশ সদস্যদের যানবাহনে তল্লাশি করতে দেখা যায়। সেইসাথে যাছাই-বাছাই করেন যানবাহনের কাগজপত্র।

মইজ্জ্যারটেক এলাকায় এক মোটরসাইকেল আরোহীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সেনা সদস্যরা

সকাল সাড়ে ১১টায় মেরিনার্স সড়কে হয়ে আসতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের তেমন তৎপরতা চোখে পড়েনি।

কোতোয়ালী মোড়ে আসতেই পুলিশের জটলা দেখা গেলেও তল্লাশির চিত্র চোখে পড়েনি।

লালদীঘি মোড়, টেরীবাজার বক্সিরহাট বিট ও আন্দকিল্লা ও চেরাগী মোড়েও পুলিশের তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি।

উল্লেখ্য, ১ জুলাই থেকে সারাদেশে চলছে এক সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউন’। পুলিশ, র‌্যাব, আসনার বাহিনীর পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!