চট্টগ্রামে মেয়াদোত্তীর্ণ, নকল ও অনুমোদিত পণ্য বিক্রি, সয়াবিন তেল লুকিয়ে গুদামজাত করা, তেলের সঙ্গে অন্যান্য পণ্য কিনতে বাধ্য করা এবং ভোজ্য তেলের সংকট সৃষ্টি করার অপরাধে জরিমানা গুনেছে দুটি প্রতিষ্ঠান।
রোববার (৯ মার্চ) সকালে নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকা ও খতিবের হাট মসজিদ গলিতে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় দুই প্রতিষ্ঠানকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করেন ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক আনিছুর রহমান, রানা দেবনাথ ও মাহমুদা আক্তার এবং আলোকচিত্রী মো. আফতাবুজ্জামান।
আরও পড়ুন : সয়াবিন তেল—কেউ নেন বেশি দাম, কেউ রাখেন লুকিয়ে
জানা যায়, চাঁদগাও আবাসিক এলাকাযর আল রায়া নামের একটি সুপার শপে মেয়াদোত্তীর্ণ চানাচুর বিক্রি, নকল পণ্য সংরক্ষণ, অননুমোদিত বিদেশি প্রসাধনী সংরক্ষণ, মেয়াদ ও মূল্যহীন অননুমোদিত দুধ ও ঘি সংরক্ষণ এবং সয়াবিন তেল লুকিয়ে গুদামজাত করায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া খতিবের হাট মসজিদ গলির মেসার্স এমএম এন্টারপ্রাইজ সয়াবিন তেল মজুদ করে বাজারে ভোজ্য তেলের সংকট সৃষ্টি করা এবং খুচরা বিক্রেতাদের কাছে সয়াবিন তেলের সঙ্গে অন্যান্য পণ্য কিনতে বাধ্য করায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া দোকানে মজুদ করা তেল খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পাইকারি দামে বিক্রি করা হয়।
এদিকে বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে মুদি দোকানিদের ভোক্তা অধিকারবিরোধী সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।
এ বিষয়ে উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ বলেন, আজকের তদারকি কার্যক্রমে চান্দগাঁও এলাকার একটি সুপারশপ ও একটি দোকানে বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায়। এজন্য প্রতিষ্ঠান দুটিকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম