সিরিয়াল ভঙ্গ করে শহীদ মিনারে ঢুকার সময় বাধা এবং বেদিতে জুতা পায়ে উঠার প্রতিবাদ করায় ছাত্র ইউনিয়ন নেতাকর্মীদের ওপর দফায় দফায় হামলা করেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরের মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জেলা ছাত্র ইউনিয়নের তিন নারী কর্মীসহ ১২ জন আহত হয়েছেন।
তারা হলেন—ইমরান চৌধুরী, মো. অর্ণব, অয়ন সেনগুপ্ত, শুভ দেবনাথ, কিংশুক বণিক, এসএম নাবিল, বর্ষা দেবী, মুক্তা পাল, শিরিন আক্তার, মিজানুর রহমান আরিফ, সৌম্য মল্লিক ও মোহাইমেনুল ইসলাম।
সরেজমিন দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দারুল ফজল মার্কেটে ছাত্র ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রভাতফেরি নিয়ে দলটির নেতাকর্মীরা শহিদ মিনারে ফুল দিতে যান। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবক দল নির্ধারিত সারিতে বেদিতে উঠার জন্য সহায়তা করছিলেন। ওই সময় ছাত্র ইউনিয়ন নেতাকর্মীরা সারিবদ্ধভাবে শহিদ মিনারের সামনে পৌঁছলেই মহিলা লীগের নেতাকর্মীরা তাদের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে। পরে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরাও একই কাজ করে।
এসময় জুতা পায়ে বেদিতে উঠার প্রতিবাদ করলে ছাত্র ইউনিয়নের ওপর হামলা করে তারা। এসময় স্লোগান কেন দিচ্ছিস বলে মারধর করা হয়।
পরে নগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে কোনো সংগঠন শহিদ মিনারে আসেনি। ভিড়ের মধ্যে টুকটাক সমস্যা হয়।
ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ইমরান চৌধুরী বলেন, কোতোয়ালি থানা ছাত্রলীগ ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা দফায় দফায় হামলা চালায়। হামলায় চট্টগ্রাম জেলা ছাত্র ইউনিয়নের নারী সহযোদ্ধাসহ ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছে।
আরএস/আরবি