মিরসরাইয়ে বিজয় মেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৬ কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় ৬টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। শনিবার (১ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার জোরারগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন— চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি কাউছার আহমেদ আরিফ, জেলা ছাত্রলীগের উপমুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আমজাদ হোসেন ইমন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ, আব্দুর রহমানসহ আরও দুযুবলীগ কর্মী। যাদের মধ্যে কাউছার আহমেদ আরিফের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সাহেদ বিন কামাল অনিককে পিটিয়ে জখম করে পায়ের রগ ছিঁড়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দিন টিটুর নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ভুক্তেভাগীদের।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মাঈন উদ্দিন টিটুর ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা আসা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ কারা করেছে সেটি সবাই দেখেছে এবং জানে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই।
বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের কো-চেয়ারম্যান শ্যামল দেওয়ানজী বলেন, এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা প্রত্যেকেই সন্ত্রাসী।
যোগাযোগ করা হলে জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, রোববার ভোর রাতে জোরারগঞ্জ বাজারে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে আমাদের ফোর্স পাঠানো হয়। এ ঘটনায় কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে শুনেছি। এখন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
আজিজ/এসআই