নাশকতা ও পুলিশের ওপর হামলার মূলহোতা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান হেলালীকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর ও পশ্চিম) বিভাগ।
সোমবার (২৮ আগস্ট) রাতে পাঁচলাইশ বাদুরতলা আরাকান হাউজিং সোসাইটির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এদিন বিকেলে মহানগর গোয়েন্দা বন্দর-পশ্চিম বিভাগের একটি টিম সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামানের বাসায় গেলে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খুললে একপর্যায়ে দরজা ভেঙে প্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় বিল্ডিংয়ের ভাড়াটিয়ারা আতঙ্কিত হয়ে পড়লে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা অভিযানের পর গোয়েন্দা পুলিশের টিম শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন : লুকিয়ে থেকেও পার পেলেন না জামায়াত নেতা
পুলিশ জানায়, সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় নাশকতা ও হামলার ঘটনায় ৩৯টি মামলা রয়েছে। গত ২৮ জুলাই ডবলমুরিং থানা এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের মূলহোতা তিনি।
এছাড়া গত ২৩ আগস্ট বন্দর এলাকায় মিছিল থেকে গাড়ি ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলাসহ বাকলিয়া থানার ২০২২ সালের একটি মামলার পলাতক আসামি ছিলেন।
এ বিষয়ে মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর ও পশ্চিম) বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মু. আলী হোসেন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হামলা ও নাশকতার ৩৯টি মামলা রয়েছে।
উপপুলিশ কমিশনার আরও বলেন, তিনি জামায়াতের সক্রিয় একজন নেতা। তার নেতৃত্বে নগরে জামায়াতের মিছিল-মিটিংসহ নাশকতা ও হামলা সংঘটিত হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মহানগর গোয়েন্দা বন্দর ও পশ্চিম বিভাগের নজরদারিতে ছিলেন। রোববার রাতে তাকে বাদুরতলার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এএইচ/আরবি